সুন্দরবনের তৃতীয় পাখি উৎসবে রেকর্ড সংখ্যক পাখির দেখা মিলেছে। চার দিনের এই পর্যবেক্ষণে মোট ৩২,০০০ পাখির দেখা মিলেছে। এই সংখ্যা গত বছরের ৮,৮৮৬ থেকে প্রায় ২৫০% বৃদ্ধি। একই সঙ্গে প্রজাতির সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ১৫৪, যেখানে গত বছর ছিল ১৩৫।
এই সফলতার পেছনে সুন্দরবনের মাডফ্ল্যাটগুলির উন্নত ব্যবস্থাপনাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নেচার মেটস-এর অর্জন বসু রায় বলেন, “মাডফ্ল্যাটের আশেপাশে কোনো মৎস্যজীবন ছিল না এবং প্লাস্টিক বা জালের মতো দূষণের চিহ্ন দেখা যায়নি।”
এই উৎসব জানুয়ারি ২২ থেকে ২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৬ জানুয়ারি এর সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ছয়টি দল ৪,০০০ বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে পর্যবেক্ষণ চালায়। গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতিগুলির মধ্যে রয়েছে গলায়াথ হেরন, বাফি ফিশ আউল এবং হোয়াইট-বেলিড সি ঈগল।
এই বছর মাডফ্ল্যাটে চিহ্নিত পাখির প্রজাতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫, যেখানে গত বছর ছিল ৩৪। এছাড়া ৯১ প্রজাতির বনজ পাখি এবং ৮ প্রজাতির র্যাপ্টর দেখা গেছে।
জেডএসআই-এর গবেষক অমিতাভ মজুমদার জানান, আগের উৎসবের পরামর্শগুলো অনুসরণ করায় এবারের মাডফ্ল্যাট ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি পাখির প্রজাতি – ১০৮ – দেখা গেছে মতলা রেঞ্জে। এছাড়া কালাসে ৯৫, ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্টে ৮১ এবং সজনেখালিতে ৬৪ প্রজাতির পাখি চিহ্নিত হয়েছে।
এই সাফল্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।