Homeরাজ্যদঃ ২৪ পরগনাবারবার অবস্থান বদল, কুলতলির সেই রয়্যাল বেঙ্গল এ বার মৈপীঠে

বারবার অবস্থান বদল, কুলতলির সেই রয়্যাল বেঙ্গল এ বার মৈপীঠে

প্রকাশিত

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : বারবার জায়গা বদল সুন্দরবনের দক্ষিণরায়ের। আর তাতেই নাজেহাল বনকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বাঘের অবস্থান ছিল মৈপীঠের কিশোরী মোহনপুর সংলগ্ন উত্তর বৈকুন্ঠপুর এলাকার মাকড়ি নদী তীরবর্তী ৬ নম্বর ঘেরি এলাকায়। আর তারপর বনকর্মীদের তৎপরতায় ওই এলাকাটি ইতিমধ্যেই জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা।

এ দিন সকালে নদীর ঘেরির জালের কাছে দেখা যায় বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ। বন দফতর সূত্রের খবর, সেখান থেকে আরও খানিকটা পুর্ব দিকে এগিয়ে সংলগ্ন জঙ্গলে রয়েছে বাঘটি। এরপরেই নতুন করে ১ কিলোমিটার জঙ্গল ঘেরার কাজ করছেন বনকর্মীরা। শুধুমাত্র জঙ্গলের দিক খুলে রেখে বাকি তিন দিক জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

এভাবে বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী, দুপুরে চলে আসেন ডিএফও নিশা গোস্বামী। বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানোর তদারকি করছেন তাঁরা।

আর লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘ চলে আসায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জঙ্গলের পাশেই একাধিক গ্রাম রয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য রুজি-রুটির প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের জঙ্গলে যেতে হয়। আপাতত তাঁদের জঙ্গলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এলাকার বাসিন্দারা লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল নেট দিয়ে ঘিরে ফেলার দাবি তোলেন।

এ ছাড়া রাস্তায় যাতে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয় সেই দাবিও তুলেছেন তাঁরা। ওই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে রয়েছে মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে সচেতন থাকেন সেই জন্য মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।তবে গ্রামের কৌতুহলী মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই সুন্দরবনের কুলতলির মৈপীঠের লোকালয়ে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণরায়কে। স্থানীয়রা দাবি করছিলেন, মাকড়ি নদী পার করে লোকালয়ে চলে এসেছিল বাঘটি। ওই একই পথে বাঘটিকে ফিরিয়ে দেয় বন দপ্তরের কর্মীরা।আর তাঁরপরই সোমবার সকালে আবার মৈপীঠের দক্ষিন বৈকুন্ঠপুরের ড্রোনের মুখ এলাকায় বাঘের দর্শন পায় এক মৎস্যজীবী।

খবর পেয়ে চলে আসে মৈপীঠে উপকূল থানার পুলিশ সহ বন দফতরের রায়দীঘি রেঞ্জ ও নলগোড়া বিট অফিসের বন কর্নীরা। তাঁদের সঙ্গে গ্রামবাসীরা ও টাইগার টিমের কর্মীরা মিলে সোমবার রাতে আগুন জ্বালিয়ে গ্রামে পাহারা দেয়।আর মঙ্গলবার সকালেই দক্ষিণরায় সেই এলাকা থেকে দুকিমি দূরে উওর বৈকুন্ঠপুর এলাকায় চলে যায়। আপাতত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বাঘ এলাকায় আছে বলে খবর। তবে সবকিছুর ওপর নজরদারি রেখেছে বন দফতর।তবে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে মৈপীঠ গ্রামের মানুষজন।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

ক্যানবেরায় বৃষ্টিতে ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি

ক্যানবেরা: বুধবার এখানকার মানুকা ওভালে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতল বৃষ্টি। টস জিতে...

বিশ্বকাপ মহিলা ক্রিকেট: উলভার্টের সেঞ্চুরি ও ক্যাপের ৫ শিকার, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

গুয়াহাটি: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপের ফাইনালে...

ঋণগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ লক্ষ কোটির ‘বেলআউট’ প্যাকেজ আনছে কেন্দ্র; শর্ত বেসরকারিকরণ

ঋণে জর্জরিত রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি উদ্ধারপ্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। শর্ত—রাজ্যগুলিকে তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

কলকাতায় আত্মপ্রকাশ গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্সের, পূর্ব ভারতে ঋণ পরিষেবায় নতুন দিগন্ত

পূর্ব ভারতে আর্থিক পরিষেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কলকাতায় প্রথম শাখা চালু করল গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্স। ৭.৭৫% সুদে হোম লোন, নারীদের জন্য বিশেষ ‘আরোহী হোম লোন’ অফারসহ গ্রাহককেন্দ্রিক পরিষেবা দেবে সংস্থা।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ হতে চলেছে সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন বনাঞ্চল যুক্ত করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি, মাতলা ও রামগঙ্গা বনাঞ্চলকে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে সায় দিল কেন্দ্র। ফলে ৩,৬০০ বর্গকিমি জুড়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ হতে চলেছে সুন্দরবন।

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় তিনটি নতুন লোকাল ট্রেন, উপকৃত হবেন অফিস-স্কুলগামী যাত্রীরা

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সোনারপুর, বালিগঞ্জ ও ডায়মন্ড হারবার রুটে চালু হচ্ছে তিনটি নতুন ইএমইউ ট্রেন। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে রেলের বড় পদক্ষেপ।

সুন্দরবনে বাঘরোলের মলেই মিলল প্লাস্টিক! বিপদের ইঙ্গিত, জানাল টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত সমীক্ষা

টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা জানাল, সুন্দরবনের মাৎস্যবিড়ালের মল ও খাদ্যশৃঙ্খলে মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। পর্যটন ও শিল্প বর্জ্যই অন্যতম কারণ।