স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বে বেসরকারি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা মেলে না। এই অভিযোগ বহুদিনের। এবার সেই অভিযোগ দূর করতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা আরও সহজলভ্য করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশ অনুসারে, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ডিসপ্লে বোর্ড বসাতে হবে, যেখানে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য প্রাপ্য বেডের সংখ্যা।
রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, অনেক সময় রোগীরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পান না। নানা যুক্তি দেখিয়ে কার্ড গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো হয়, যার ফলে রোগীর পরিজনেরা বিপাকে পড়েন। ফলে অনেককে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেও বাধ্য হয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। এবার থেকে ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে রোগীর পরিজনেরা সহজেই জানতে পারবেন, হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি এবং কার্ডের আওতায় কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে।
সূত্রের খবর, ২০১৭ সালেই এমন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, কিন্তু অনেক বেসরকারি হাসপাতাল তা মানেনি। এই অবস্থায়, নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর পুনরায় নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোগীর পরিজনেরা যাতে অবিলম্বে হাসপাতালের পরিস্থিতি বুঝতে পারেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
বেসরকারি হাসপাতালের বিপুল চিকিৎসা খরচ সাধারণ মানুষের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। সেই কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কাণ্ডের সময় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তখন অনেক রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেয়েছিলেন।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা স্বাগত জানাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, নতুন ব্যবস্থার ফলে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর হবে।
আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন