কলকাতা: এক ধাক্কায় বাড়ল স্বাস্থ্যসাথীর বরাদ্দ। এ বার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে দামি ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচের জন্য বরাদ্দ ৫ গুণ বাড়ানো হয়েছে।
নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় না-থাকা ওষুধপত্র ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য এর আগে যে টাকা বরাদ্দ ছিল, তাতে স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে থাকা বড় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এ বার সেই খরচ একেবারে পাঁচ গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ বার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এতদিন, যে টাকার অঙ্ক ছিল ৫ হাজার। পাশাপাশি, এ বার থেকে সহজেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে কেনা যাবে, পেসমেকার, স্টেন্ট-জাতীয় যন্ত্রাংশ।
এই পরিষেবা সমস্ত হাসপাতালে পাওয়া যাবে না। রাজ্যের ৩০টি এনএবিএইচ (ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস অ্যান্ড হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাসপাতালেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ৩০টি হাসপাতালের তালিকায় কলকাতার বিভিন্ন বড় হাসপাতালের পাশাপাশি শহরতলির একাধিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমও রয়েছে।
বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম মাঝেমধ্যেই বিলে কারচুপি বা ভুয়ো বিল পেশ করে টাকা নিচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ। ভুয়ো বিল আটকাতেও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বিলের ৩০ শতাংশের ‘র্যান্ডম অডিট’ হবে। এর জন্য ২০০ জন চিকিৎসককে নিয়ে দল গড়া হয়েছে। সাধারণত বিলগুলি প্রথমে পরীক্ষা করে ‘টিপিএ’ বা তৃতীয় পক্ষ। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন গড়মিল দেখা দিলে যে-টাকা দেওয়া হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে তা ফেরত দিতে হবে। যে-টিপিএ সংস্থা গরমিলযুক্ত বিলে ছাড়পত্র দেবে, সমান অঙ্কের জরিমানা করা হবে তাদেরও।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় কেবলমাত্র জরুরি কোনো পরিস্থিতিতেই স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই জেলাতেই বেসপকারি হাসপাতালগুলিতে যেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে সাধারণ অর্থোপেডিকের অস্ত্রোপচার না করা হয়, তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। দুই জেলারই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অমর একুশে: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা কলকাতা জুড়ে