Home খবর রাজ্য রাজ্যে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রী...

রাজ্যে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  

0
বৃষ্টির মাঝেই ভাষণ দিচ্ছেন মমতা। ছবি: রাজীব বসু।

খবর অনলাইন ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে এই রাজ্যে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দায়িত্বে আসার আগে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের জমানায় তা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে।”

এই ২১ জুলাই দিনটি প্রতি বছর তৃণমূল কংগ্রেস ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে থাকে। এ বছর ছিল লোকসভা ভোটের বছর। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের পর এ দিনের সমাবেশই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বড়ো কর্মসূচি। এ দিন ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে জড়ো হয়েছেন ধর্মতলায়।

সকাল থেকে আবহাওয়ার চলছিল খামখেয়ালিপনা। কখনও বৃষ্টি, কখনও রোদ্দুর। মমতার বক্তৃতা চলাকালীন জোর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে ভিজেই বক্তৃতা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘‘২১ জুলাই একটু বর্ষা তো হবে। এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। শহিদের চোখের জল। এই জল দেখে ভয় পাবেন না।’’

লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভার ৪টি আসনের উপনির্বাচনে বিপুল সাফল্যের বাংলার মানুষকে স্যালুট জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে যাঁরা এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেননি তাঁদের সমর্থন আশা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের একতরফা আচরণের পরেও লোকসভা নির্বাচনে, বিধানসভা উপনির্বাচনে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন। এজেন্সির ধমকানি-চমকানির পরেও বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে এসেছি, তাতে স্যালুট জানাই বাংলার মানুষকে। যাঁরা আমাদের সমর্থন দেননি, আগামী দিন তাঁদের কাছে সমর্থন আশা করব। সাধারণ মানুষ ছাড়া তৃণমূল পথ চলতে পারে না। আমরা যত জিতব, আমাদের তত নরম হতে হবে। যত জিতব, তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে।”

সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। ছবি: রাজীব বসু

অন্যায়-দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মমতা পরিষ্কার জানিয়ে দেন অন্যায় করলে কাউকে ছাড়া হবে না। অন্যায় করলে তিনি কাউকে ছাড়েন না। গ্রেফতার করেন। তাই তাঁর পরামর্শ “অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্য করবেন না। আমি পরিষ্কার বলছি, মা-বোনেদের সম্মান দেবেন।’’

যাঁরা নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করবেন না, তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা হবে না বলে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াই করার অঙ্গীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্নীতির কাছে তিনি মাথা নত করবেন না।

মমতা বলেন, ‘‘আমরা বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা করব। বাংলাই দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করবে।’’

মঞ্চে অখিলেশের সঙ্গে মমতা। ছবি: রাজীব বসু।

সমাবেশের অতিথি অখিলেশ যাদব

সেই চেনা পোশাকেই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গেল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে। পরনে সাদা কুর্তা-পাজামা। তার ওপর কালো জহর কোট। গলায় সাদা উত্তরীয়, মাথায় লাল টুপি। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক আগে বক্তৃতা করেন তিনি। সভায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অখিলেশ মমতাকে ধন্যবাদ জানান। তৃণমূলনেত্রীর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন মুলায়ম-পুত্র। তিনি বলেন, “দিদি যেভাবে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, এটাই দলকে মজবুত করে।” বক্তৃতার মাঝে অখিলেশ বলেন, “এক অকেলি লড় জায়েগি, জিতেগি অওর বাড় জায়েগি।”

২১ জুলাইয়ের সভায় আরও যাঁরা বক্তৃতা করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাগদার নবনির্বাচিত বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর, কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

আরও পড়ুন    

কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল, সংরক্ষণ ৭ শতাংশে বেঁধে দিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version