কলকাতা: মঙ্গলবার ভোরে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পরই ভোটগণনার দিন ভাঙড় পরিদর্শনে রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তির ঘটনা নিয়ে বড়োসড়ো আশ্বাসও দিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যপাল বলেন, বাংলায় হিংসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের গোড়া থেকে নির্মূল করা হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে।
তাঁর কথায়, “বাংলায় ক্রমশ বেড়ে চলা হিংসার বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই চলবে। এই হিংসা নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করছে। বাংলাকে নতুন প্রজন্মের বাসবাসের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা করে তুলব”।
এ দিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য জুড়ে গণনা কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভোটের দিন ভুয়ো ভোটার, ছাপ্পা, বুথ ক্যাপচারিং এবং বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম এবং অশান্তির ঘটনার জেরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোটগণনার দিনও জেলায় জেলায় অশান্তি। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজির অভিযোগ। হরিহরপাড়া থানা এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী এবং তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় দুই সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বীরভূমের নানুরে গণনাকেন্দ্রে যেতে সিপিএম কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজের গণনাকেন্দ্রে বেশ কিছুটা দুরে বোমাবাজি গন্ডগোলের জেরে ১৭৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। সিপিএম, আইএসএফ এবং কংগ্রেসের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। গণনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়া এবং হুগলি জেলাতেও। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় সকাল থেকেই উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে অন্ধকার সময়টা আসে ভোরের ঠিক আগেই’, শাহি বৈঠক শেষে সাঙ্কেতিক বার্তা রাজ্যপালের