কলকাতা: যাত্রা শুরুর দু’দিনের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! জানা গিয়েছে, সামসি ও মালদহ স্টেশনের মাঝে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এর ফলে সি১৩ কোচের একটি দরজার কাচ ফেটে যায়।
এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দ্রুত হামলার জায়গা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে বন্দে ভারত। কে বা কারা টার্গেট করল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে, খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়েরও করা হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই। তবে চালু হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে যে ভাবে হামলার মুখে পড়তে হল, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত রেলকর্তারা।
রেল সূত্রে খবর, তখন সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে। এনজেপি থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সি১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরেছে! এরপর ট্রেন যখন মালদহ টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। কিন্তু কারা এ কাজ করল? কেনই বা করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে যেভাবে হামলার মুখে পড়তে হল, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত রেলকর্তারা। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রেনে পাথর ছোড়া একটা সামাজিক ব্যাধি। আমরা সারা বছর এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালাই। একটা সময়ে পার্ক সার্কাস অঞ্চলে লোকাল ট্রেনে এটা খুব হতো। এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সচেতন করার ফল মিলেছে। বন্দে ভারতে আজ এটা হয়েছে। আরপিএফের সঙ্গে এটা জিআরপিরও দেখার কথা। আমরা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলব।’’
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ১ জানুয়ারি থেকেই সাধারণ যাত্রীর জন্য খুলে দেওয়া হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দরজা। তবে প্রথম দিনেই ট্রেনের শৌচাগারে জলের টান, দুই কামরার মধ্যবর্তী দরজা ঠিকঠাক না-খোলা, চা-প্রাতরাশ সব যাত্রীর কাছে যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না-পারার মতো পরিষেবাগত একাধিক অভিযোগ উঠেছে।