Homeখবররাজ্যভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত! মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে 'স্বাধীন' ঘোষণা করতে রাজ্যকে...

ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত! মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করতে রাজ্যকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে স্বাধীন ঘোষণা করার নির্দেশ দিল কমিশন। জানুন বিস্তারিত।

প্রকাশিত

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরকে অবিলম্বে ‘স্বাধীন দফতর’ হিসেবে ঘোষণা করতে নির্দেশ দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধস্তন সচিব এম আশুতোষের তরফে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, বর্তমানে সিইও-র দফতর রাজ্য সরকারের অর্থ, স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য দফতরের অধীনস্ত থেকে কাজ করছে, যার ফলে ওই দফতরের যথাযথ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা নেই। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বশাসিত পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অতিরিক্ত মুখ্যসচিব স্তরের হলেও, তিনি যেন কোনওভাবেই রাজ্যের মুখ্যসচিব বা প্রিন্সিপাল সচিবের নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকেন। এছাড়া সিইও দফতরকে রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামো থেকে আলাদা করে ‘সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও মজবুত করতে সিইও দফতরে উপ, অতিরিক্ত ও যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে চারটি নিয়োগ দ্রুত পূরণের বার্তাও পাঠিয়েছে কমিশন।

এই নির্দেশ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ তৈরি করেছে। কারণ বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও বিহারের মতো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, রাজ্যে অনুপ্রবেশের কারণে জনবিন্যাসের চরিত্র বদলেছে। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এসআইআর বা ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’-র দাবি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই সিইও-র দফতরে সাক্ষাৎ করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে স্বাধীনতা ঘোষণার নির্দেশ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর একটি সাংবিধানিক সংস্থা। তা কোনও রাজ্য সরকারের দফতরের অধীনস্থ থাকতে পারে না। তবে নির্বাচন পরিচালনায় রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ থেকেই যায়।

আরও পড়ুন: রাজ্যে এনআরসি কার্যকরের দাবি, কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

আজ সন্ধ্যায় কাকিনাড়ায় মোন্থার ল্যান্ডফল, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা — বাংলাতে প্রভাব পড়বে ক’দিন?

আজ সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে ঝড়। বাংলায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও সিকিমে তুষারপাতের পূর্বাভাস।

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...

আরও পড়ুন

আজ সন্ধ্যায় কাকিনাড়ায় মোন্থার ল্যান্ডফল, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা — বাংলাতে প্রভাব পড়বে ক’দিন?

আজ সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে ঝড়। বাংলায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও সিকিমে তুষারপাতের পূর্বাভাস।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।