জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশের মধ্যে প্রথমবার, সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় ফেস রেকগনিশনের মাধ্যমে যাচাই প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, জমি বা বাড়ি বিক্রির সময় রেজিস্ট্রি অফিসে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং সাক্ষীর মুখমণ্ডল স্ক্যান করে তাঁদের পরিচয় যাচাই করা হবে। ফেস রেকগনিশনের এই প্রক্রিয়ায় সহজেই বোঝা যাবে বিক্রেতা সত্যিই সেই সম্পত্তির মালিক কি না। এর ফলে প্রতারণা বা জালিয়াতির আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
এই ব্যবস্থা চালু করতে অ্যাপ তৈরি করছে ‘ডিরেক্টরেট অব রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প ডিউটি’, যা অর্থদপ্তরের আওতাধীন। অ্যাপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে টেকনোলজিক্যাল অডিট। শীঘ্রই এটি চালু করা হবে রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে।
বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের সময় দশ আঙুলের বায়োমেট্রিক, ছবি ও ই-সিগনেচার নিতে হয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ফেস স্ক্যানিং। অ্যাপটির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি অফিসে বসেই মুখমণ্ডল স্ক্যান করে যাচাই করা হবে। অ্যাপের ব্যবহারের ক্ষেত্র অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এজন্য ‘জিও ফেন্সিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে অ্যাপ ব্যবহারে বাধা দেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় আঙুলের বায়োমেট্রিক বারবার নেওয়ার ঝামেলা হয়। ফেস রেকগনিশন চালু হলে সেই সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া, ভবিষ্যতে আইনে পরিবর্তন হলে, পরিচয় যাচাইয়ের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠবে এই প্রযুক্তি।
অতীতে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে— প্রকৃত মালিক না জেনেই কেউ সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন বহু মানুষ। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এই ধরনের জালিয়াতির রাস্তাও কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ভিড় সামলাতে বাড়ল ট্রেন, ডায়মন্ড হারবার ও বারাসত শাখায় চলবে অতিরিক্ত ৫ লোকাল