কলকাতা: ২০২২-এর শেষ দিনে (শনিবার) কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩-এর প্রথম দিন (রবিবার) সেটাই বেড়ে হয়েছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে খানিকটা কমে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে আরও পরিবর্তন হবে তাপমাত্রার।
এ দিন সকালে আকাশ ছিল কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বেলা গড়ানোর সঙ্গেই ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করে। যদিও অন্য দিনের, তুলনায় সূর্যের তেজ এ দিন যথেষ্ট হালকা। কিছুটা মেঘলা ভাব বজায় থাকলেও বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের মতে, আগামী ৩ দিন একই রকম থাকবে কলকাতা সহ রাজ্যের আবহাওয়া।
তবে বৃহস্পতিবার থেকেই বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বেশ খানিকটা পারদ পতনের জোরালো সম্ভাবনা। একই সঙ্গে মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বেশিরভাগ জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে। এ ভাবেই শনিবার ও রবিবারের মধ্যে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা। জেলার তাপমাত্রা আরও ৩-৪ ডিগ্রি নীচে থাকবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় শীতের লুকোচুরি চললেও আসানসোল, পানাগড়ে মতো জায়গায় বছরের শুরু থেকেই জমিয়ে ব্যাটিং করছে শীত। পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে মানুষ উপভোগ করছেন এই আবহাওয়া। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী আরও কয়েকদিন এমনই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বজায় থাকবে পশ্চিম বর্ধমানের বেশিরভাগ জায়গায়।
ও দিকে, উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় ক্রমেই শৈত্যপ্রবাহের জোর বাড়ছে। হরিয়ানা, বিহার, দিল্লি, হরিয়ানার ন্যূনতম তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘুরছে। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর প্রদেশে নূন্যতম তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়ার এমনই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।