কলকাতা: সন্দেশখালি নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সন্দেশখালি পৌঁছানোর আগেই আটকে দেওয়া হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। এ দিকে, সন্দেশখালি ঢুকতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর আগেই বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া হয়। রাস্তায় বসে পড়েন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পুলিশের সঙ্গে বাঁধে বচসা। এর পর রামপুর থেকে সরাসরি তাঁরা রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতির কথা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রিপোর্ট দেওয়া হবে জেপি নড্ডাকেও।
বলে রাখা ভালো, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বুধবার ছয় সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলেন। ওই কমিটি ঘটনার তদন্ত করবে এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে কমিটির সমন্বয়ক করা হয়েছে এবং কমিটির সদস্য প্রতিভা ভৌমিক, সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাটীদার, সঙ্গীতা যাদব এবং ব্রিজলাল।
এর আগে রামপুরে শুভেন্দু অধিকারীকেও বাধা দিয়েছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ বগলদাবা করে তিনি ফের সন্দেশখালি ঢুকবেন। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও মাত্র চারজনকে কেন ঢুকতে দেওয়া হল না, সেই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
সন্দেশখালি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরবেরিয়ার কাছেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ বচসা চলার পর রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্বরা। পুলিশের দাবি ছিল, শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি প্রবেশ করলে প্রচুর লোকের জমায়েত হতে পারে। তাতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, সেই কারণেই তাঁকে যেতে দেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা অত্যাবশ্যক। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: শুক্রবার কৃষকদের ভারত বন্ধ, জানুন কী খোলা আর কী বন্ধ থাকবে