৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই চাকরি বাতিল ও পুনর্নিয়োগ নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পরবর্তীতে এই নির্দেশ সংশোধন করা হয়। সেখানে জানা যায়, সংখ্যাটা প্রায় ৩২ হাজার।
পাশাপাশি, তিনি নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। যে সব শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তাঁদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।
এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশে কিছুটা পরিবর্তন করে ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়, পর্ষদের নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এই ৩২ হাজার শিক্ষককেও। সেখানে তাঁরা ব্যর্থ হলে চাকরি হারাবেন।
এর পর হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান এই প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ এবং পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে এ দিন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি দুর্নীতির মামলা আপাতত বিচারাধীন। সেই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: শেষ ভরসা সুপ্রিম কোর্ট! ‘মোদী’ পদবি মামলায় রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হাইকোর্টে