অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনুষ্ঠিত হল নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। রবিবার রাজ্যের ৬৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ভিন্রাজ্য থেকেও এসেছেন প্রায় ৩১ হাজার জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ১০ শতাংশ।
এই পরীক্ষা নতুন করে আয়োজন করা হচ্ছে কারণ ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই প্যানেল বাতিল করে দেয়। এর ফলে চাকরি হারাতে হয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে। আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রায় ৮ বছর ৯ মাস পরে ফের নতুন পরীক্ষা হচ্ছে।
পরীক্ষা শুরুর আগেই একাধিক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্ট যাঁদের ‘দাগি’ বা টেন্টেড বলে ঘোষণা করেছে, তাঁদের একাংশ নতুন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এমনকি পরীক্ষার সূচি পরিবর্তনের আবেদনও জানানো হয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—কোনও দাগি প্রার্থী নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না।
এই নির্দেশ মেনেই গত ৩০ সেপ্টেম্বর এসএসসি ১,৮০৬ জন দাগির তালিকা প্রকাশ করে। তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
তবে এত বিতর্ক সরিয়ে এবার পরীক্ষা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে হবে বলেই আশাবাদী অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। রাজ্যের শিক্ষা মহলেও জোর আলোচনা, দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে এই পরীক্ষা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন অধ্যায় খুলবে কি না।
আরও পড়ুন: বিতর্কের ৯ বছর পর প্রশাসনের বড় কর্তাদের নজরদারিতে ফের এসএসসি পরীক্ষা