প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সকাল ১১টায় হাওড়া এক নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। গত রবিবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪১ সালের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্ম ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টার। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হন ষষ্ঠীপদ। তবে ১৯৮১ সালে তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই তাঁকে পাঠকমহলে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তুলেছিল।
প্রয়াত সাহিত্যিক রেখে গেলেন তাঁর সৃষ্ট বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু-কে। কয়েক প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীরা বুঁদ ছিল এই রোমাঞ্চকর রহস্যে। অসামান্য গোয়েন্দা ও দুঃসাহসিক কাহিনির শতাধিক গল্প রচনা করেছেন সাহিত্যিক। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র পাশাপাশি ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী’, ‘কিশোর গোয়েন্দা তাতার-এর অভিযান’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প রচনা করেছেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। শিশুদের উপযোগী একাধিক গোয়েন্দা কাহিনির স্রষ্টা ছিলেন তিনি। তাঁর রচনা নিয়ে ছোটপর্দা কিংবা রুপোলি পর্দাতেও কাজ হয়েছে।
তাঁর প্রকাশিত জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলা নাটক আকাদেমির তরফে সম্মানিত হন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মুখ খুললেন রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী, যা বললেন তিনি…