Homeবিজ্ঞানচন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানালেন ইসরো প্রধান

চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানালেন ইসরো প্রধান

প্রকাশিত

সম্প্রতি চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে ভারতীয় মহাকাশযান অবতরণের লক্ষ্যের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি, ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠার দায়িত্বও ইসরোকে দেওয়া হয়েছে।

এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসরোর ভবিষ্যৎ প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইসরো চেয়ারম্যান জানান, “অনেক প্রকল্প রয়েছে। চন্দ্রযান-৪ চাঁদে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করবে। তিন দিন আগে চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাতে ৩৫০ কেজি ওজনের একটি রোভার থাকবে। জাপান ও ভারত যৌথভাবে এই মিশনে কাজ করছে।”

ইসরো ইতিমধ্যেই তিনটি চন্দ্রযান মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে সর্বশেষ চন্দ্রযান-৩ নিরাপদভাবে চাঁদে অবতরণ করে। গত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, সরকার চন্দ্রযান-৪ মিশন অনুমোদন করেছে, যা চাঁদে সফলভাবে অবতরণ ও নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরার প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

চন্দ্রযান-৫ তথা লুপেক্স (LuPEX) মিশন পরিকল্পিত হয়েছে উন্নত ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ডার প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য, যা ভবিষ্যতের চাঁদে অবতরণ, এমনকি মানব অভিযানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

২০৩৫ সালের মধ্যে “ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন” স্থাপনের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে ভারত। ইসরো প্রধান জানান, “আমরা আমাদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছি এবং সরকার চাইছে যে ভারতীয় নভোচারীরা ভারতীয় রকেটে চাঁদে গিয়ে ফিরে আসুক।”

তিনি জানান, চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরোর বিজ্ঞানীরা গভীর হতাশার মধ্যে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, “বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম যেন বিফলে গেল বলে মনে হয়েছিল”।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ১৩১টি উপগ্রহ নকশা করে উৎক্ষেপণ করেছি এবং সেগুলি সার্কভুক্ত দেশগুলিকেও দিয়েছি। মাত্র ৩৪ দিনের মধ্যে আমরা এমন সাফল্য অর্জন করেছি, যা অন্য কোনো দেশ পারেনি। গত দশ বছরে আমরা আমাদের মাটি থেকে ৪৩৩টি উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছি, যার ৯০ শতাংশ সাফল্যের হার রয়েছে। চন্দ্রযান-২ শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের খুব খারাপ লেগেছিল।”

২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, ইসরো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৩৯৩টি বিদেশি এবং তিনটি ভারতীয় গ্রাহক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ইজরায়েল-সহ ৩৪টি দেশের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

মোবাইল নম্বর নয়, এবার ইউজারনেম দিয়েই চ্যাট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ইউজারনেম ফিচার। মোবাইল নম্বর শেয়ার না করেই চ্যাট করা যাবে। নতুন এই ফিচার দেখা গেছে হোয়াটসঅ্যাপের বিটা ভার্সন ২.২৫.২৮.১২ তে। ইউজারনেম সেট করতে থাকবে কিছু নিয়মও।

সতর্ক থাকুন! পেঁপের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলেই বাড়বে বিপদ

ভিটামিন ও ফাইবারে ভরপুর পেঁপে যতটা উপকারী, ভুল খাবারের সঙ্গে খেলে ততটাই ক্ষতিকর। কমলালেবু, শশা, টমেটো, দই বা মধুর সঙ্গে পেঁপে খাওয়া হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

রাজ্যে শুরু টোটোর রেজিস্ট্রেশন, প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০ গাড়ি নথিভুক্ত ! দীপাবলির পর বাড়বে সাড়া আশা পরিবহণ দফতরের

রাজ্যে ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর আশা করছে দীপাবলির পর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। রাজ্যে আনুমানিক টোটোর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।

২০০২ বনাম ২০২৫! ৭ জেলার ভোটার তালিকায় ৫১% থেকে ৬৫% মিল, কোথায় সবচেয়ে কম জানেন?

রাজ্যের সাতটি জেলায় ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার মধ্যে ৫১% থেকে ৬৫% নামের মিল পাওয়া গিয়েছে। সর্বাধিক মিল কালিম্পংয়ে, সর্বনিম্ন ঝাড়গ্রামে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুনভাবে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন

ভোঁতা ছুরি নয়! ধারালো ছুরিই বাঁচাবে চোখের জল— পেঁয়াজ কাটলে কেন কান্না আসে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পেঁয়াজ কাটলে চোখে জল আসে কেন? ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের গবেষণায় মিলল উত্তর। ভোঁতা ছুরিতে পেঁয়াজ কাটলেই বেরোয় ঝাঁজালো এরোজল, যা চোখে জ্বালাভাব তৈরি করে। ধারালো ছুরিই পারে এই বিপত্তি কমাতে।

পশ্চিমঘাটে মিলল ৪ নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ! কর্নাটকের গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

কর্নাটকের ধারওয়াড়ের একদল গবেষক পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় আবিষ্কার করলেন ৪টি নতুন উদ্ভিদ প্রজাতি। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই জীববৈচিত্র্যময় অঞ্চলের গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন পালক।

কোয়ান্টাম টানেলিংয়ে অগ্রগতির জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন ক্লার্ক, মিশেল ডেভোরে ও জন মার্টিনিস

২০২৫ সালের নোবেল পদার্থবিজ্ঞানে জয়ী হয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরে ও জন এম. মার্টিনিস — সুপারকন্ডাক্টিং সার্কিটে করা অভূতপূর্ব পরীক্ষার জন্য, যেখানে কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশনকে ম্যাক্রোস্কোপিক পর্যায়ে প্রদর্শন করা হয়েছে।