Home খেলাধুলো বিশ্ব দাবায় ইতিহাস, সর্বকনিষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের ডি গুকেশ

বিশ্ব দাবায় ইতিহাস, সর্বকনিষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের ডি গুকেশ

0

ভারতের দাবা তারকা ডি গুকেশ ইতিহাস গড়লেন। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর নির্ণায়ক ১৪তম গেমে চিনের ডিং লিরেনকে পরাজিত করে তিনি সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হলেন।

ডি গুকেশ (১৮ বছর ৮ মাস ১৪ দিন) তার এই সাফল্যের মাধ্যমে গ্যারি কাসপারভের ২২ বছর ৬ মাস ২৭ দিনের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন। গুকেশ ভারতের দ্বিতীয় দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এর আগে বিশ্বনাথন আনন্দ চারবার এই খেতাব জিতেছিলেন।

ডিং লিরেন এবং গুকেশ ৬.৫ পয়েন্টে সমতায় থেকে ১৪তম এবং শেষ গেমে মুখোমুখি হন। এই গেমে ডিং সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন। গেমটি ড্র-এর দিকে এগোচ্ছিল, তবে ম্যাচের ৫৩তম চালের সময় ডিং মারাত্মক ভুল করেন। গুকেশ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে চাপ দেওয়ার কৌশল বজায় রেখে এই ভুলের সুযোগ কাজে লাগান এবং শেষ মুহূর্তে সঠিক চালটি বের করে এনে জয় নিশ্চিত করেন।

ডিং ভুল করেছেন জেনে জলের বিরতিতে যাওয়ার সময় গুকেশ নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। বোর্ডে ফেরার সময় গুকেশের মুখে হাসি ছিল, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর গাল বেয়ে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই জয়ের মাধ্যমে গুকেশ ৭.৫-৬.৫ পয়েন্টে শিরোপা দখল করেন এবং দাবার ১৮তম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজের নাম লেখান। ম্যাচ শেষে গুকেশ বলেন, “আজ আমার জীবনের সেরা দিন।”

ডিং লিরেন ম্যাচটি টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও গুকেশ শেষ মুহূর্তে বিজয়সূচক চাল দিয়ে ইতিহাস রচনা করলেন।

প্রসঙ্গত, চেন্নাইয়ে জন্ম গুকেশের। বাবা চিকিৎসক এবং মা মাইক্রোবায়োলজিস্ট। সাত বছর বয়সে দাবা খেলা শুরু গুকেশের। এক বছর পরেই অনূর্ধ্ব-৯ এশিয়ান স্কুল দাবা প্রতিযোগিতা জেতেন তিনি। অনূর্ধ্ব-১২ স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাঁচটি সোনা জেতেন গুকেশ। মাত্র ১২ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টারের যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। ভারতের কনিষ্ঠতম ও বিশ্বের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম (১২ বছর ৭ মাস বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টার হয়েছিলেন রাশিয়ার সের্গে কারজাকিন) হন গুকেশ। ভারতীয় দাবায় তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান সবার নজর কেড়েছিল। ২৬ বছর পরে আনন্দকে টপকে ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু হন গুকেশ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version