Home খেলাধুলো ক্রিকেট শুবমন গিলের সেঞ্চুরি, তবু নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হেরে গেল...

শুবমন গিলের সেঞ্চুরি, তবু নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হেরে গেল ভারত  

0

বাংলাদেশ: ২৬৫-৮ (শাকিব আল হাসান ৮০, তৌহিদ হৃদয় ৫৪, শার্দূল ঠাকুর ৩-৬৫, মহম্মদ শামি ২-৩২)

ভারত: ২৫৯ (৪৯.৫ ওভার) (শুবমন গিল ১২১, অক্ষর পটেল ৪২, মুস্তাফিজুর রহমান ৩-৫০, তানজিম হাসান সাকিব ২-৩২)  

কলম্বো: শুবমন গিলের সেঞ্চুরি বাঁচাতে পারল না ভারতকে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এ নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হেরে গেল তারা। বাংলাদেশ প্রথম ব্যাট করে করে ৮ উইকেটে ২৬৫। জবাবে ভারত করে ২৫৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১ বল বাকি থাকতে ভারত অল আউট হয়ে যায়।

এশিয়া কাপের ফাইনালে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে ভারত। তাই এ দিন দলে পাঁচটি পরিবর্তন করে তারা। বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্য, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দিয়ে সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, প্রসিধ কৃষ্ণ, মহম্মদ শামি এবং শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হয় এ দিন।

ভারতের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৬৬  

কলম্বোর আর প্রেমদাস স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। মূলত শাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও নাসুম আহমেদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ২৬৫ রানে।

শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৫৯ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারায় তারা। পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন শাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। ভারতের কোনো বোলারকেই তাঁরা সমীহ করেননি। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ১০১ রান যোগ করেন। দলের ১৬০ রানের মাথায় শাকিব আউট হন। শার্দূল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন তিনি।

এর পর দলের স্কোরে ১ রান যোগ হতেই নতুন ব্যাটসম্যান শামিম হোসেন জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নাসুম আহমেদ। সপ্তম উইকেটে হৃদয়-নাসুম জুটি এবং অষ্টম উইকেটে নাসুম-মেহেদি হাসান জুটি দলকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যায়। দলের ১৯৭ রানে আউট হন হৃদয় এবং ২৩৮ রানে আউট হন নাসুম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৮ উইকেটে ২৬৫। ২৯ রানে নট আউট থাকেন মেহদি হাসান।

অভিষেক ম্যাচে প্রথম ২টি উইকেট তানজিমের

২৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি এ দিন রানের খাতা খুলতে পারেননি। রোহিতকে তুলে নেন এ দিনই আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব। ভারতের রান তখন ২। ভারতের স্কোরে মাত্র ১৫ রান যোগ হতেই সাকিবের দ্বিতীয় শিকার। তাঁর বলে বোল্ড হন ৫ রান করা তিলক বর্মা।

শুবমন গিলের সঙ্গী হন কে এল রাহুল। দু’ জনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলের ৭৪ রানে মহেদি হাসানের বলে শামিম হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে রাহুল আউট হতেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। এক দিকে শুবমন খেলা চালিয়ে গেলের তিনি বড়ো পার্টনারশিপ গড়ার মতো কোনো সঙ্গী পাননি। দলের ১৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট (রবীন্দ্র জাদেজা) পড়ে যাওয়ার পরে উইকেট পতন আটকানোর কিছুটা চেষ্টা করেন শুবমন গিল ও নতুন ব্যাটসম্যান অক্ষর পটেল। ইতিমধ্যে ৩৮.২ ওভারে সাকিবের বলে ২ রান নিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে শুবমন তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরিটি করেন।

দলের ২০৯ রানে আউট হন শুবমন গিল। এর পর অক্ষর পটেলের সঙ্গে শার্দূল ঠাকুর জুটি বেঁধে দলের স্কোর নিয়ে যান ২৪৯-এ। নিজস্ব ১১ রান করে আউট হন শার্দূল। তখনও ভারতকে জিততে হলে ১১ বলে ১৭ রান করতে হবে। ৫ রান পরেই আউট হয়ে যান অক্ষর। দলের নবম উইকেট পড়ে। জয়ের জন্য দরকার ১২ রান, হাতে ৮ বল। ভারতের অতি বড়ো সমর্থকও আর জয় আশা করছিল না। শেষ পর্যন্ত ২৫৯ রানে মহম্মদ শামি আউট হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ইনিংস শেষ হয়। ৬ রানে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপে সান্ত্বনা পুরস্কার পেল বাংলাদেশ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version