শ্রীলঙ্কা: ১৬৮-৭ (দাসুন সনাকা ৬৪ নট আউট, কুশল মেন্ডিস ৩৪, মুস্তাফিজুর রহমান ৩-২০, মেহেদি হাসান ২-২৫)
বাংলাদেশ: ১৬৯-৬ (সইফ হাসান ৬১, তৌহিদ হৃদয় ৫৬, দাসুন সনাকা ২-২১, ওয়ানিডু হসারঙ্গা ২-২২)
দুবাই: এবারের এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে জিতল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনায় শেষ হল ম্যাচ। প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কাকে ১৬৮ রানে বেঁধে রেখে বাংলাদেশ জয়ে পৌঁছোল মাত্র ১ বল বাকি থাকতে। শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ করল ৬ উইকেটে ১৬৯ রান। ৪ উইকেটে জিতল তারা। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন সইফ হাসান। রবিবার ভারত মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের।
শ্রীলঙ্কার সর্বাধিক রান দাসুন সনাকার ব্যাটে
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান। দুই ওপেনার পথুম নিসঙ্ক ও কুশল মেন্ডিস ইনিংসের শুরুটা খুব খারাপ করেননি। ৫ ওভারে তাঁরা তোলেন ৪৪ রান। ১৫ বলে ২২ রান করে পথুম নিসঙ্ক তাস্কিন আহমেদের বলে সইফ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতেই দ্রুত উইকেট পড়তে শুরু করে শ্রীলঙ্কার। ৯৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। একমাত্র কুশল পতন কিছুটা ঠেকানোর চেষ্টা করেন।
৯৭ রানে ৪ উইকেট যেতে পরিস্থিতি কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেন দাসুন সনাকা ও চরিত অসালঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৫৭ রান। দলের ১৫৪ রানের মাথায় লিটন দাসের থ্রো-এ রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অসালঙ্কা। ইনিংসের বাকি ১১ বলে মাত্র ১৪ রান যোগ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। বিনিময়ে হারায় আরও ২টি উইকেট। দাসুন সনাকা ৬৪ রান করে নট আউট থাকেন। বাংলাদেশের তরফে সবচেয়ে সফল বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ২৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান মেহেদি হাসান।

ব্যাট ও বল, দুয়েতেই সফল হলেও দাসুন শনাকা জয় আনতে পারলেন শ্রীলঙ্কার। ছবি Sri Lanka Cricket ‘X’ থেকে নেওয়া।
সইফ-তৌহিদের ব্যাটে এল জয়
জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে এক্কেবারে গোড়াতেই বিপদে পড়ে লিটন দাসের দল। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে তুষারের বলে বোল্ড হয়ে রানের ঝুলি শূন্য রেখেই ফিরে যান তানজিদ হাসান। অন্য ওপেনার সইফ হাসানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে যোগ হয় ৫৯ রান। ১৬ বলে ২৩ রান করে লিটন ফিরে যেতে হাসানের সঙ্গী হন তৌহিদ হৃদয়। দু’জনে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৪ রান। দলের ১১৪ রানের মাথায় বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। ৪৫ বলে ৬১ রান করে ওয়ানিডু হসারঙ্গার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন হাসান।
এর পর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব মূলত বর্তায় হৃদয়ের উপরে। তাঁকে সাহায্য করেন শামিম হোসেন। ৩৭ বলে ৫৮ রান করে চামিরার বলে এল বি ডব্লিউ হয়ে হৃদয় যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান জয় তখন আর ১০ রান দূরে। দলের ১৬৮ রানের মাথায় মেহেদি হাসান শূন্য রান করে বিদায় নিতেই বাংলাদেশ কিছুটা চিন্তায় পড়ে। হাতে মাত্র ২টি বল। জয়ের জন্য বাকি ১ রান। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে মূল কাজটি সারেন নাসুম আহমেদ। তিনি মেহেদির জায়গায় এসেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানটি তুলে নেন। ১ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ জিতে যায় ৪ উইকেটে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার ইনিংসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক দাসুন সনাকা দলের হয়ে ২টি উইকেটও নিলেন, ২১ রান দিয়ে। আর-এক সফল বোলার ওয়ানিডু হসারঙ্গা। তিনি ২ উইকেট নেন ২২ রান দিয়ে।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভারতকে প্রায় ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ওমান
এশিয়া কাপ: রবিবার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি, দেখে নিন সুপার ফোরে বাকি ম্যাচগুলির দিনক্ষণ