ভারত: ১৬৮-৬ (অভিষেক শর্মা ৭৫, হার্দিক পাণ্ড্য ৩৮, শুভমন গিল ২৯, রিশাদ হোসেন ২-২৭)
বাংলাদেশ: ১২৭ (১৯.৩ ওভার) (সইফ হাসান ৬৯, কুলদীপ যাদব ৩-১৮, জসপ্রীত বুমরাহ ২-১৮, বরুণ চক্রবর্তী ২-২৯)
দুবাই: মূলত অভিষেক শর্মা এবং কিছুটা শুভমন গিলের ব্যাটিংয়ে একসময়ে মনে হচ্ছিল ভারত খুব সহজেই ২০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা গুটিয়ে গেল ১৬৮ রানে। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকেই ৪১ রানে দূরে থেকে থেমে গেল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। ৪১ রানে জিতে ভারত চলে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। যারা জিতবে তারা ফাইনালে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করবে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন অভিষেক শর্মা। সুপার ফোরের দুটি ম্যাচেই ভারতকে জেতালেন তিনি।
রান এল অভিষেক শর্মার দাপটে
বুধবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সুপার ফোরের ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুটা দুর্দান্ত করে ভারত। মাত্র ৬.২ ওভারে ৭৭ রানে পৌঁছে যায় সূর্যকুমারের দল। এই রানের পিছনে অবদান বেশি ছিল অভিষেক শর্মার। ঝড়ের মতো রান তুলতে থাকেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন শুভমন গিল। দলের ৭৭ রানের মাথায় রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে শুভমন (১৯ বলে ২৯ রান) ফিরতেই ভারতের ইনিংস নড়বড়ে হয়ে যায়। একমাত্র লড়াই চালাতে থাকেন অভিষেক।

সবচেয়ে সফল বোলার কুলদীপ যাদবকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে মাত্র ৬ রান যোগ হতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শিবম দুবে ৩ বলে ২ রান করে। অভিষেকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। দুর্ভাগ্য অভিষেকের। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ২৯ রান যোগ হওয়ার পর রান আউট হয়ে যান বিধ্বংসী অভিষেক শর্মা। তিনি ৫টি ছয় আর ৬টি চারের সহযোগে ৩৭ বলে ৭৫ রান করেন। এর পর দ্রুত গতিতেই ভারতের উইকেট পড়তে থাকে। তারই মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হার্দিক পাণ্ড্য (২৯ বলে ৩৮ রান)। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত ইনিংস শেষ করে।
কার্যত একা ব্যাটিং সইফ হাসানের
দলের রান ১২৭। তার মধ্যে ৬৯ রানই এল সইফ হাসানের ব্যাট থেকে। আর-একজনের রান দু’ অঙ্কে পৌঁছেছিল। তিনি পারভেজ হোসেন ইমন (১৯ বলে ২১ রান)। অর্থাৎ এই দু’জনেই ৯০ রান তুলে দেন। অতিরিক্ত রান ওঠে ৯। তা হলে বাদবাকি ২৮ রান এল বাকি ৯ জন ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এতেই স্পষ্ট কত দুর্বল ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। অথচ যখন ভারতের রান তাড়া করতে শুরু করে বাংলাদেশ, তখন বোঝা যায়নি এত তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাবে তারা। প্রথম উইকেট ৪ রানে পড়ে গেলেও সইফ ও ইমন দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে যখন ব্যাট করছিলেন, তখন ভারতের সমর্থকরা বেশ চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিলেন। বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন তাঁরা। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা মাত্র ৫ ওভারে যোগ করেন ৪২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একা লড়লেন সইফ হাসান। ছবি Bangladesh Cricket ‘X’ থেকে নেওয়া।
দলের ৪৬ রানের মাথায় কুলদীপ যাদবের শিকার হয়ে ইমন ফিরে যেতেই পতন শুরু হয় বাংলাদেশের এবং সইফ এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেই পতন দেখে যেতে থাকেন। বাদবাকি ৮টি উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের ঘরে এল মাত্র ৮১ রান। দলের ১১৬ রানের মাথায় সইফকে (৫১ বলে ৬৯ রান) তুলে নিলেন বুমরাহ। শেষ উইকেটে ১১ রান যোগ হওয়ার পরে বাংলাদেশ পরাজয় স্বীকার করে নিল। ভারতের কুলদীপ যাদব ৩টি (১৮ রানে), জসপ্রীত বুমরাহ (১৮ রানে) ও বরুণ চক্রবর্তী (২৯ রানে) ২টি করে এবং তিলক বর্মা (১ রানে) ও অক্ষর পটেল (৩৭ রানে) ১টি করে উইকেট দখল করেন।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলেন নওয়াজ-তালাত
এশিয়া কাপ: অভিষেক-শুভমনের দুর্দান্ত ব্যাটিং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবার জয় পেল ভারত
এশিয়া কাপ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, মাত্র ১ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেল বাংলাদেশ