পাকিস্তান: ১৭১-৫ (সাহিবজাদা ফারহান ৫৮, সইম আয়ুব ২১, শিবম দুবে ২-৩৩)
ভারত: ১৭৪-৪ (অভিষেক শর্মা ৭৪, শুভমন গিল ৪৭, হরিস রাউফ ২-২৬)
দুবাই: ভারত যে দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করছিল, তাতে মনে হচ্ছিল আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে আজ হয়তো একটা বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়ে যাবে। হয়তো ১০ উইকেটেই জিতে যাবে ভারত। কিন্তু, তা হল না। উল্টে প্রথম উইকেট পড়ার পর ঘন ঘন দুটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় ভারতের সমর্থকরা একটু চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিলেন। চিন্তা দূর হল। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ বল বাকি থাকতেই ভারত ৬ উইকেটে জিতে যায়।
রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। পাকিস্তান করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সব ব্যাটারই কিছু না কিছু রান করেন। তবে সর্বাধিক রান সাহিবজাদা ফারহানের। তিনি ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন। প্রত্যুত্তরে ভারত করে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা (৩৯ বলে ৭৪ রান) এবং শুভমন গিলের (২৮ বলে ৪৭ রান) ব্যাটিংয়ের দৌলতে ভারত জয়ে পৌঁছে যায়। কোনো দলের বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন অভিষেক শর্মা।
ইনিংস গড়লেন সাহিবজাদা ফারহান
ব্যাটিং শুরু করে ২১ রানে পাকিস্তান প্রথম উইকেট (ফকর জামান) হারালেও সইম আয়ুবকে সঙ্গী করে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে বেশ স্বচ্ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন সাহিবজাদা ফারহান এবং দলের রান টেনে নিয়ে যান ৯৩-এ। শিবম দুবের বলে অভিষেককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আয়ুব ১৭ বলে ২১ রান করে। এর পর এক প্রান্তে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন ফারহান। অন্য প্রান্তের ব্যাটার হুসেন তালাত বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১ বলে ১০ রান করে তালাত কুলদীপ যাদবের বলে বরুণ চক্রবর্তীকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।

জয়ের ভিত গড়ল অভিষেক-শুভমনের জুটি। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
এর পর একে একে প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়ান সাহিবজাদা ফারহান এবং মহম্মদ নওয়াজ (১৯ বলে ২১ রান)। শিবম দুবের বলে কুলদীপকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ফারহান। আর ২১ রান করে রান আউট হন নওয়াজ। দলের রান তখন ৫ উইকেটে ১৪৯ রান। ইনিংসের বাকি ছিল আর ৯ বল। অধিনায়ক সলমন আগা (১৩ বলে ১৭ রান) এবং ফাহিম আসরফ (৮ বলে ২০ রান) অবিচ্ছেদ্য থেকে দলের রান পৌঁছে দেন ১৭১-এ।
জয়ে পৌঁছে দিলেন তিলক-হার্দিক
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২ রান তাড়া করতে গিয়ে সূর্যকুমারের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিল ব্যাটিং-এ ঝড় তোলেন। ৯.৫ ওভারে তাঁরা দলের রান পৌঁছে দেন ১০৫-এ। তাঁদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ভারত বুঝি গুঁড়িয়ে দেবে পাকিস্তানকে। ঠিক সেই মুহূর্তেই ফাহিম আসরফ দারুণ ভাবে বোল্ড করেন গিলকে। আর ৪ বলেই নিজের খাতা না খুলেই হরিস রাউফের শিকার হন সূর্যকুমার। ভারত ২ উইকেটে ১০৬ রান। জয়ের জন্য তখনও দরকার ৬৬ রান। হাতে অবশ্য ৯.৩ ওভার।
দলের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ১৭ রান যোগ হতেই ফিরে যান অভিষেক। আবরার আহমেদকে উইকেটটি কার্যত উপহার দেন। ভারতীয় সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে থাকে। অনায়াসে জয় হবে বলে যা ভাবা হচ্ছিল, তা কি শেষ পর্যন্ত কষ্টার্জিত জয়ে গিয়ে দাঁড়াবে? এর পর অবশ্য আর একটি উইকেট পড়ে। দলের ১৪৮ রানের মাথায় ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন (১৭ বলে ১৩ রান)। রাউফের বলে বোল্ড হন তিনি। এর পর তিলক বর্মা (১৯ বলে ৩০ রান) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (৭ বলে ৭ রান) অবিচ্ছেদ্য থেকে দলকে জয়ে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, মাত্র ১ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেল বাংলাদেশ