Home খেলাধুলো ক্রিকেট এশিয়াড মহিলা ক্রিকেট: খেল দেখালেন বঙ্গতনয়া তিতাস, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জয় ভারতের

এশিয়াড মহিলা ক্রিকেট: খেল দেখালেন বঙ্গতনয়া তিতাস, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জয় ভারতের

0
উল্লসিত ভারতীয় দল। মাঝে হাসিমুখে তিতাস (সানগ্লাস ছাড়া)।

ভারত: ১১৬-৭ (স্মৃতি মন্ধানা ৪৬, জেমিমা রডরিগস ৪২, উদেশিকা প্রবোধনী ২-১৬, ইনোকা রণবীর ২-২১)

শ্রীলঙ্কা: ৯৭-৮ (হাসিনি পেরেরা ২৫, নীলাক্ষি ডি সিলভা ২৩, তিতাস সাধু ৩-৬, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ২-২০)

হ্যাংঝাউ: ভারতের মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে এক সোনার দিন। এক ঐতিহাসিক দিন। এশিয়ান গেমসে মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সোনা জিতল ভারত। ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি ক্রিকেট ফিল্ডে সোমবার আয়োজিত ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কাকে হারাল ১৯ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১১৬ রান। জয়ের জন্য রান তাড়া করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৭ রান করে থেমে যায়।  

খেল দেখালেন বঙ্গতনয়া তিতাস সাধু। এই ম্যাচে তার হিসাব ৪-২-৬-৩ অর্থাৎ ৪ ওভারে ২টি মেডেন, ৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে প্রাথমিক ধাক্কাটা চুঁচুড়ার তিতাসই দিলেন। তাঁর মিডিয়াম পেসের জাদুতে ১৪ রানের মধ্যে প্রথম ৩টি উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন। বাকি কাজটা সেরে ফেললেন বাকি বোলাররা। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ঝুঁকি নিতে বাধ্য করে বাকি উইকেটগুলো ঝুলিতে ভরে নিলেন তাঁরা।

আরও একজনের কথা বলতে হয়। তিনি হলেন হরমনপ্রীত কৌর। এ দিনের ম্যাচটি ছিল তাঁর অধিনায়ক হিসাবে ১০০তম আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার যিনি ১০০টি টি২০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করলেন। এই কৃতিত্ব আর একজনেরই আছে। তিনি হলেন অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং।

তিতাস সাধু।

মন্ধানা ও রডরিগসের যুগলবন্দি

টসে জিতে ভারতই ব্যাট নেয়। দ্বিতীয় উইকেটে স্মৃতি মন্ধানা ও জেমিমা রডরিগসের জুটি আসল কাজটি সেরে ফেলে। তাঁরা ৬৭ বলে ৭৩ রান যোগ করেন। এর আগে মন্ধানার সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে এসে শেফালি বর্মা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের ১৬ রানের মাথায় নিজস্ব ৯ রানে সুগন্দিকা কুমারীর বলে উদেশিকা প্রবোধিনীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।

দলের ৮৯ রানে ইনোকা রণবীরের বলে প্রবোধিনীর হাতে ক্যাচ দিয়ে মন্ধানা (৪৫ বলে ৪৬ রান) আউট হলে রডরিগসের সঙ্গী হন রিচা ঘোষ। তখনও হাতে ছিল ৫.১ ওভার। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় পর পর উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। মন্ধানা আর রডরিগস (৪০ বলে ৪২ রান) ছাড়া ভারতের আর কোনো ব্যাটার দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছোতে পারেননি।

তিতাসের বলে বিপাকে শ্রীলঙ্কা  

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১১৭ রান তুলতে গিয়ে খুব খারাপ শুরু করেনি শ্রীলঙ্কা। দলের অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত বল তুলে দেন তিতাস সাধুর হাতে। আর বল করতে নেমে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন তিতাস। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই অনুষ্কা সঞ্জীবনীকে তুলে নেন তিতাস। ওই ওভারের চতুর্থ বলে বিশমি গুণরত্নেকে আউট করেন তিতাস। ১৩ রানে ২টি উইকেট পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার। তিতাসের পরবর্তী শিকার দলের অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। দলের ১৪ রানের মাথায় নিজস্ব ১২ রানে আউট হন আতাপাত্তু। তিতাসের বলে ক্যাচ ধরেন দীপ্তি শর্মা।

কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা এর পর একটু লড়াই করার চেষ্টা করে। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটের  জুটিতে রান ওঠে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৮ রান। হাসিনি পেরেরা এবং নীলাক্ষি ডি সিলভার চেষ্টায় দলের রান ওঠে ৫ উইকেটে ৭৮ রান। বাকি ৩.৯ ওভারে ১৯ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত তারা শেষ করে ৮ উইকেটে ৯৭ রানে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version