খবর অনলাইন ডেস্ক: একেই কি বলে ‘কপালের নাম গোপাল’? সন্ধে পৌনে ৬টার উড়ান ধরার জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর (কেকেআর) ক্রিকেটারদের লখনউয়ের হোটেল ছেড়ে বেরোতে হয়েছিল বিকেল বিকেল। শেষ পর্যন্ত পৌনে দু’ ঘণ্টার বিমানযাত্রা গিয়ে ঠেকল ছ’ ঘণ্টায়। ভালো ধকল গেল খেলোয়াড়দের। কিন্তু তার পরিবর্তে যা জুটল তা কি কখনও ভুলতে পারবেন তাঁরা?
ঘোরা হয়ে গেল ‘মর্ত্যের স্বর্গধাম’ বারাণসী। দর্শন হয়ে গেল বাবা বিশ্বনাথের। আর গঙ্গাবক্ষে নৌকাযাত্রা করে দেখা হয়ে গেল গঙ্গার ঘাটগুলো।
রবিবার লখনউ সুপার জায়েন্টসকে ৯৮ রানে হারিয়ে বেশ খোশ মেজাজে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর (কেকেআর) ক্রিকেটারেরা। লখনউ থেকে তাঁদের ঘরে ফেরার চাটার্ড উড়ান ছিল সোমবার সন্ধে পৌনে ৬টায়। ওই উড়ান কলকাতা পৌঁছে যাওয়ার কথা সন্ধে ৭.২৫ মিনিটে।
কিন্তু বাদ সাধল আবহাওয়া। তাঁদের বিমান যখন কলকাতার ওপরে এল তখন বিপুল কালবৈশাখীতে আক্রান্ত শহর। ব্যাপক ঝড়, সেইসঙ্গে বৃষ্টি। কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমান নামার অনুমতি দিল না। বিমান ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হল গুয়াহাটিতে।
এবার গুয়াহাটি থেকে কলকাতা ফেরার অনুমতি পেয়ে আবার যাত্রা কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু এবারেও কলকাতায় নামা হল না। সেই একই কারণ – খারাপ আবহাওয়া। এবার বারাণসী চলে যাওয়ার নির্দেশ এল। শেষ পর্যন্ত রাত ১টা নাগাদ বারাণসীর লালবাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল কেকেআর-এর চাটার্ড বিমান। রাতটা কাটানোর জন্য গভীর রাতে বারাণসীর হোটেলে উঠলেন কেকেআর-এর ক্রিকেটারেরা।
মঙ্গলবার কলকাতায় ফেরার উড়ান বিকেলে। সেই সুযোগেই কেকেআর-এর ক্রিকেটারদের সকালে ঘোরা হয়ে গেল বারাণসী। বিশ্বনাথ দর্শন হল, একই সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় চড়ে দেখা হল গঙ্গার ঘাটগুলো।