কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০৪-৯ (অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ৪৪, রিঙ্কু সিংহ ৩৬, মিচেল স্টার্ক ৩-৪৩, অক্ষর পটেল ২-২৭)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯০-৯ (ফাফ দু প্লেসি ৬২, অক্ষর পটেল ৪৩, সুনীল নারাইন ৩-২৯, বরুণ চক্রবর্তী ২-৩৯)
দিল্লি: এখান থেকেই কি ঘুরতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স তথা কেকেআর-এর ভাগ্য? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কেকেআর সমর্থকদের মনে। এ বারের আইপিএল খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না কেকেআর-এর। ৯ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের একেবারে শেষ দিকে ছিল কেকেআর। এই অবস্থায় প্লে অফে যেতে হলে তাদের বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। তারই কি সূচনা হল লিগ টেবিলের উপর দিকে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে?
দশম ম্যাচে ১৪ রানে জয় পেয়ে কেকেআর-এর পয়েন্ট দাঁড়াল ৯। তারা উঠে এল সপ্তম স্থানে। আর পর পর দুটো ম্যাচ হেরে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর পয়েন্ট দাঁড়াল ১০ ম্যাচে ১২। তারা থাকল চতুর্থ স্থানে। ফর্মে ফিরলেন সুনীল নারাইন। ২৯ বলে ৩ উইকেট নিয়ে এবং ১৬ বলে ২৭ রান করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন সুনীল।
মঙ্গলবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে কেকেআর-কে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি ক্যাপিটালস। বেঙ্কটেশ আইয়ার ছাড়া কেকেআর-এর গোড়ার দিকের ব্যাটাররা সবাই রান পেলেন। ফলে কেকেআর করল ৯ উইকেটে ২০৪। তবে কেউই অর্ধশতের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি রান করলেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, ৩২ বলে ৪৪ রান। পৌনে ২৪ কোটি টাকা দিয়ে কেনা বেঙ্কটেশ আইয়ার আবার ব্যর্থ হলেন – ৫ বলে ৭ রান। দিল্লির হয়ে উইকেট নিলেন মিচেল স্টার্ক (৪৩ বলে ৩ উইকেট), অক্ষর পটেল (২৭ বলে ২ উইকেট) এবং বিপরাজ নিগম (৪১ রানে ২ উইকেট)।
জয়ের জন্য রান তাড়া করতে গিয়ে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়েছে দিল্লির। বাংলার অভিষেক পোড়েল এ দিন ব্যর্থ। দলের ৪ রানে ৪ রান করে আউট হন অভিষেক। ব্যর্থ কেএল রাহুলও। তাঁর দুর্ভাগ্য, ৭ রান করে রান আউট হয়ে যান। তবে ফাফ দু প্লেসি (৪৫ বলে ৬২ রান), অক্ষর পটেল (২৩ বলে ৪৩ রান) এবং বিপরাজ নিগমের (১৯ বলে ৩৮ রান) ব্যাটিংয়ের দৌলতে কেকেআর-এর চেয়ে ১৪ রান পিছনে থেকে ইনিংস শেষ করল দিল্লি। সুনীল নারাইন ছাড়াও এ দিন বোলিংয়ে কিছুটা সফল বরুণ চক্রবর্তী। তিনি ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।