বাংলাদেশ: ২৩৬-৯ (নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৭, জাকের আলি ৪৫, মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪-২৬, উইল ও’ রুর্ক ২-৪৮)
নিউজিল্যান্ড: ২৪০-৫ (রাচিন রবীন্দ্র ১১২, টম ল্যাথাম ৫৫, তাসকিন আহমেদ ১-২৮)
রাওয়ালপিন্ডি: রাচিন রবীন্দ্রের শতরানে ভর করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। একই সঙ্গে ছুটি হয়ে গেল আয়োজক দেশ পাকিস্তানেরও। দুটি করে ম্যাচ জিতে গ্রুপ ‘এ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে পৌঁছে গেল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ঠিক হবে কোন দেশ কোন জায়গায় থাকছে। আর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হবে নেহাতই নিয়মরক্ষার।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় কিউয়িরা। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান। জবাবে ৩.৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশকে হারায় ৫ উইকেটে।
শেষরক্ষা হল না বাংলাদেশের
শুরুটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নাজমুল হোসেন শান্ত আর তানজিদ হাসান ৮.২ ওভারে দলের রান পৌঁছে দেন ৪৫-এ। কিন্তু দলের ৪৫ রানে ব্রেসওয়েলের বলে উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে হাসান বিদায় নিতেই বাংলাদেশের ইনিংসে ভাঙন শুরু হয়। নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট পড়তে থাকে এবং এই ভাঙন ধরানোর প্রধান কারিগর ব্রেসওয়েল। তিনি সঙ্গী হিসাবে পান উইল ও’রুর্ককে।

শেষ চারে কিউয়িরা। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
বাংলাদেশ পতন আটকানোর কিছুটা চেষ্টা করে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে। শান্ত আর জাকের আলি যোগ করেন ৪৫ রান। শেষ পর্যন্ত দলের ১৬৩ রানে শান্তকে তুলে নেন ও’রুর্ক। শান্ত ফিরে যাওয়ার পর বাকি ১২.৪ ওভারে বাংলাদেশ যোগ করে ৭৩ রান। হারায় ৩ উইকেট। জাকের আলি ৫৫ বলে ৪৫ রান করে রান আউট হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ করে ৯ম উইকেটে ২৩৬।
দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়েও জয়
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ে কিউয়িরা। দলের স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন উইল ইয়ং। ১৫ রান যোগ হতে না হতেই আবার উইকেট পতন। এ বার বিদায় নেন কেন উইলিয়ামসন। নাহিদ রানার বলে মুসফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এর পর রাচিন রবীন্দ্র আর ডেভন কনভয়ের জুটি দলের পতন কিছুটা রোধ করে। তাঁরা যোগ করেন ৫৫ রান।
এর পর আসল কাজটা সমাধা করেন নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র এবং টম ল্যাথামের জুটি। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ১২৯ রান। ১০৫ বলে ১১২ রান করেন রবীন্দ্র। দলের ২০১ রানে রবীন্দ্র এবং ২১৪ রানে ল্যাথাম (৭৬ বলে ৫৫ রান) আউট হয়ে যাওয়ার পর বাকি কাজটা অবিচ্ছেদ্য থেকে সমাধা করেন গ্লেন ফিলিপ্স (২৮ বলে ২১ রান) এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল (১৩ বলে ১১ রান)। বলেও দক্ষতা দেখান ব্রেসওয়েল। ২৬ রানে ৪ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন।