Home খেলাধুলো আইপিএল আইপিএল ২০২৫: হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে অফে যাওয়ার লড়াই থেকে বিদায় নিল...

আইপিএল ২০২৫: হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে অফে যাওয়ার লড়াই থেকে বিদায় নিল লখনউ

হায়দরাবের জয়ের অন্যতম কান্ডারি অভিষেক শর্মাকে 'প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ' সম্মাননা। ছবি 'X' থেকে নেওয়া।

লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২০৫-৭ (মিচেল মার্শ ৬৫, আইডেন মার্করাম ৬১, নিকোলাস পুরান ৪৫ নট আউট, এশান মালিঙ্গা ২-২৮)

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০৬-৪ (১৮.২ ওভার) (অভিষেক শর্মা ৫৯, হাইনরিখ ক্লাসেন ৪৭, ঈশান কিশন ৩৫, দিগ্‌বেশ রাঠী ২-৩৭)

লখনউ: এবারের আইপিএল-এ প্লে অফে যাওয়ার লড়াই থেকে যারা আগেই ছিটকে গিয়েছে তারা শেষ ম্যাচগুলোয় লড়াই চালিয়ে নিজেদের সম্মানরক্ষার যে আপ্রাণ চেষ্টা করবে তা বুঝিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই সফল চেষ্টায় বলি হল লখনউ সুপার জায়ান্টস।

ইতিমধ্যে ৩টি দল প্লে অফে চলে গিয়েছে। তারা হল গুজরাত টাইটান্স, পঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চতুর্থ স্থানটির জন্য লড়াই জারি আছে চলবে দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে। কিন্তু এ দিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে গিয়ে প্লে অফে যাওয়ার আশা দূর হয়ে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। এখন চার নম্বর দল হিসাবে প্লে অফে যাওয়ার জন্য লড়াই জারি থাকল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে।

লখনউয়ের আশায় জলাঞ্জলি

১২ ম্যাচ থেকে লখনউয়ের সংগ্রহ হল ১০ পয়েন্ট। আর ১২ ম্যাচ থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। লখনউ যদি বাকি দুটি ম্যাচ জিতেও যায় এবং মুম্বই যদি বাকি ২টি ম্যাচ হেরেও যায় তা হলে দুটি দলের রান সমান সমান হবে। কিন্তু তাতেও লখনউয়ের প্লে অফে যাওয়ার আশা নেই। কারণ মুম্বইয়ের খেলা বাকি আছে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে। পঞ্জাব ইতিমধ্যেই প্রথম চারে চলে গিয়েছে। আর অন্য ম্যাচে মুম্বই হেরে যাওয়া মানে দিল্লির জয়। সে ক্ষেত্রে মুম্বইয়ের জায়গায় দিল্লি চলে যাবে প্লে অফে। কারণ তাদের পয়েন্ট লখনউয়ের চেয়ে বেশি হবে। সুতরাং লখনউয়ের আশায় জলাঞ্জলি।

‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ অভিষেক শর্মা            

সোমবার লখনউয়ের ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুই ওপেনার মিচেল মার্শ এবং আইডেন মার্করামের ব্যাটিংয়ের সুবাদে বেশ ভালো শুরু করে লখনউ। ওপেনিং জুটিতে ১০.৩ ওভারে ওঠে ১০৫ রান। মার্শ (৩৯ বলে ৬৫ রান) ফিরে যেতে অধিনায়ক ঋষভ পন্থ মার্করামের সঙ্গী হন। কিন্তু ২৭ কোটির খেলোয়াড় ঋষভ আবার ব্যর্থ হন। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে ঋষভ বিদায় নিতে মার্করামের সঙ্গে হাল ধরেন নিকোলাস পুরান। মূলত এই দু’জনের চেষ্টায় লখনউ পৌঁছে যায় ৭ উইকেটে ২০৫ রানে।

জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে হায়দরাবাদ শুরুতেই দলের ১৭ রানে হারায় অথর্ব তাইদেকে। শেষ পর্যন্ত অভিষেক শর্মা (২০ বলে ৫৯ রান), হাইনরিখ ক্লাসেন (২৮ বলে ৪৭ রান), ঈশান কিশন (২৮ বলে ৩৫ রান) এবং কামিন্দু মেন্ডিসের (২১ বলে ৩২ রান আহত অবসৃত) ব্যাটিংয়ের সুবাদে জয়ে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতে গেল তারা। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন অভিষেক শর্মা। এই নিয়ে ১২ ম্যাচে ৪টি জয় পেল হায়দরাবাদ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আপাতত থাকল লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে।  

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version