দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৩১/৯ (ল্যানিং-৩৫, শিখা-২৭, রাধা-২৭, ওং- ৪২/৩, হ্যালি-৫/৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৩৪/৩ (ন্যাট-৬০*, হরমনপ্রীত-৩৭)
মহিলা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্রথম ডব্লিউপিএল শিরোপা জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
লিগ টেবিলের এক নম্বরে থেকে সরাসরি উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের ফাইনালে উঠেছিল দিল্লি। পরে এলিমিনেটরের বাধা টপকে ঝুলন গোস্বামীদের মুম্বই ঢুকে পড়ে খেতাবি দৌড়ে। রবিবার মরশুমের চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে চাপল হরমনপ্রীতদের গায়ে।
দলে বদল করেই মাঠে নেমেছিল দিল্লি। পুনম যাদবের বদলে মিন্নু মানি দিল্লি দলে সুযোগ পান। ম্যাচের আগে দিল্লির ওপেনারদের সেরার তকমা দিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তবে ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই দিল্লির ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙতে সক্ষম হন ইসি ওয়ং। ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক নিয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন এই ম্যাচে নতুন বলে তাঁর ফুলটস বলই দিল্লির কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। ফুলটস বলেই একে একে শেফালি, অ্যালিস ক্যাপসি (০) ও জেমাইমা রডরিগেজকে (৯) ফেরান ওয়ং। পরপর তিন উইকেট হারায় দিল্লি।
প্রথমে ব্যাট করে ন’উইকেটে ১৩১ তুলেছিল দিল্লি। জবাবে ১৯.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছয় মুম্বই (১৩৪-৩)। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল পাঁচ রান। অ্যালিস ক্যাপসের তৃতীয় বলে কিপারের মাথার উপর দিয়ে স্কিভার-ব্রান্ট বাউন্ডারি মারতেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। ডাগ আউট থেকে মাঠের দিতে ছুটে যান তাঁর সতীর্থরা।
মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালকিন নীতা আম্বানিকে দেখা যায় উচ্ছ্বাসে ভাসতে। গ্যালারিতে উপস্থিত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পুরুষ দলের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবদেরও দেখা যায় উল্লসিত। আইপিএলে রোহিতের নেতৃত্বে পাঁচবার সেরা হয়েছে ইন্ডিয়ান্সরা। এ বার উদ্বোধনী ডব্লুপিএলেও সেরা হল তারা।
মুম্বই চ্যাম্পিয়ন হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মাঠে হাজির রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান, শচীন তেণ্ডুলকর-সহ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকারা। বিদেশি ক্যাপ্টেনকে মাত দিয়ে প্রথম বার ডব্লিউপিএল খেতাব জিতে নিঃসন্দেহে তৃপ্ত হরমনপ্রীত।