ডায়মন্ড হারবার – ২ (মিকেল, জাস্টিন) ইস্টবেঙ্গল – ১ (আনোয়ার)
কলকাতা ময়দানে নতুন শক্তির উত্থান হল। ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বুধবারের এই সেমিফাইনাল ম্যাচে লাল-হলুদ ব্রিগেড যতই দাপট দেখাক, নির্ভুল ফিনিশিং আর গোলরক্ষক মিরশাদের অসাধারণ নৈপুণ্য ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল কলকাতার নতুন ক্লাবের পক্ষে।
শনিবার ফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।
মিস করা সুযোগে দিশেহারা ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ, বারবার আক্রমণ—সবই হচ্ছিল, কিন্তু গোল আসছিল না। দিয়ামানতাকোস, বিপিন সিংহ, মিগুয়েল—একাধিকবার ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যর্থ হন। নিজের প্রাক্তন ক্লাবকে একের পর এক রক্ষা করেন তিনি।
অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার প্রথমার্ধে কিছুটা চাপে থাকলেও প্রতি-আক্রমণে ধারাল ছিল। ২৪ মিনিটে স্যামুয়েলের শট পোস্টে না লাগলে আরও আগেই এগিয়ে যেত তারা।

খেলার মোড় ঘোরাল কোর্তাজার ও জবি
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৬৬ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গোল করে বসেন মিকেল কোর্তাজ়ার। অসাধারণ ব্যাক ভলিতে এগিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারকে।
তবে লাল-হলুদ শিবিরও দ্রুত জবাব দেয়। মাত্র এক মিনিট পরেই দূরপাল্লার শটে চমৎকার গোল করে সমতা ফেরান আনোয়ার আলি। মনে হচ্ছিল ম্যাচ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, কিন্তু তা আর হয়নি।
৮৩ মিনিটে গোলমুখে জটলার সুযোগ কাজে লাগান ইস্টবেঙ্গলেরই প্রাক্তন স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন। তাঁর গোলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।
কলকাতা ময়দানে নতুন যুগ?
ডার্বি জয়ের পর ডুরান্ড কাপেও ইস্টবেঙ্গলকে হারানো ডায়মন্ড হারবার এফসির জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে পুরনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া এই ক্লাবকে এখন নতুন শক্তি হিসেবেই দেখছেন ময়দানের অনেকে।
শনিবারের ফাইনালে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তারা কি ট্রফিও ছিনিয়ে আনতে পারবে? এখন তাকিয়ে গোটা ফুটবল মহল।
আরও পড়ুন: