Home খেলাধুলো ফুটবল আইএসএল: গত বারের সেমিফাইনালিস্ট হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল

আইএসএল: গত বারের সেমিফাইনালিস্ট হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল

0
ছবি আইএসএল ফেসবুক থেকে নেওয়া।

ইস্টবেঙ্গল এফসি: ২ (ক্লাইটন সিলভা) হায়দরাবাদ এফসি: ১ (হিতেশ শর্মা)

কলকাতা: এ বছরের আইএসএল-এ দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল এফসি। তারা ২-১ গোলে হারাল গত বারের সেমিফাইনালিস্ট হায়দরাবাদ এফসিকে। দুটি গোলই করেন ক্লাইটন সিলভা। তিনিই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন।

শনিবার সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে গোল করে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ। কিন্তু সেই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। মিনিটদুয়েকের মধ্যে ম্যাচে সমতা আনে ইস্টবেঙ্গল। এবং তাদের জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত সময়ে।

ম্যাচের সেরা ক্লাইটন সিলভা

শেষ পর্যন্ত চেনা ছন্দে ফিরলেন ব্রাজিলের সুযোগসন্ধানী ফরোয়ার্ড ক্লাইটন সিলভা। আর তিনি ছন্দে ফিরতেই ইস্টবেঙ্গলের খেলার ধারাও পালটাল। গত মরশুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ক্লাইটন সিলভা। লাল-হলুদের হয়ে ১৪টি গোল করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও চারটি গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্টও করেন তিনি।

এই মরশুমে তিনিই সব চেয়ে দেরি করে দলের প্রাক-মরশুম শিবিরে যোগ দেন। এর আগে পাঁচটি ম্যাচে মোট ১৩৬ মিনিটের জন্য তাঁকে মাঠে নামিয়েছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ক্লাইটন একটি গোলও করতে পারেননি। কোচ কুয়াদ্রাত বলে দিয়েছিলেন, যখনই মনে হবে ক্লাইটন তৈরি হয়েছে তখনই তাঁকে শুরু থেকে নামানো হবে।

শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই ক্লাইটনকে নামালেন কোচ। এমনকি তাঁর হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও তুলে দিলেন। তিনিও প্রমাণ করে দিলেন চেনা ছন্দে ফিরে এসেছেন তিনি। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথাতেই পেলেন গোল। এবং অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল করে দলের জন্য বহুকাঙ্খিত জয়টি এনে দিলেন ম্যাচের সেরা তারকা।

প্রথমার্ধে ১-১   

এ দিন শুরু থেকেই দু’ পক্ষই আক্রমণাত্মক খেলা চালাতে থাকে। এবং তার ফলস্বরূপ দুটি দলই প্রথম ১০ মিনিটের গোল পেয়ে যায়। প্রথমে গোল করে হায়দরাবাদ। এই গোলের জন্য দায়ী ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। দুটি ভুল করে তারা। প্রথমত, বাঁ দিক দিয়ে ওঠা নোয়েলসকে কাট ইন করে গোলের সামনে বল পাঠানোর জায়গা করে দেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয় ভুল ডিফেন্ডার খোসে পার্দোর। গোলের সামনেই ছিলেন হায়দরাবাদের হীতেশ শর্মা। তাঁর পিছনেই ছিলেন পার্দো। তিনি হীতেশকে ঠিক সময়ে পিছন থেকে বাধা দিলে হয়তো হীতেশ গোলটি করতে পারতেন না। কিন্তু পার্দো নিষ্ক্রিয় থাকায় হীতেশ আলতো টোকায় গোলে বল পাঠিয়ে দেন।

গোল খাওয়ার পরেই চেগে ওঠে লাল-হলুদ বাহিনী এবং দু’ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে যায় তারা। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন নন্দকুমার। হায়দরাবাদের ডিফেন্ডাররা তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নিলেও সেই বল চলে যায় মহেশ সিংয়ের পায়ে। ডান দিক দিয়ে তখন বক্সে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বোরহা হেরেরা। মহেশ তাঁকে বল দেন। কিন্তু হায়দরাবাদের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় নিম দোরজি ফেলে দেন বোরহাকে। কিন্তু বল চলে আসে বক্সের মধ্যে অরক্ষিত ক্লাইটনের পায়ে। সেখান থেকে কাট্টিমণির মাথার ওপর দিয়ে হায়দরাবাদের জালে বল জড়িয়ে দিতে কোনো ভুলচুক করেননি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। ম্যাচের ফল তখন ১-১।

জয়সূচক গোল অতিরিক্ত সময়ে

দ্বিতীয়ার্ধে দুই পক্ষই সমানে সমানে খেলতে থাকে। তবে কোনো পক্ষই গোলের তেমন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল এবং সেই ফ্রি-কিক থেকেই জয়সূচক গোলটি করেন ক্লাইটন। মানবপ্রাচীরের ওপর দিয়ে বাঁ দিকে বাঁকানো শটে বল বারের নীচের অংশ ছুঁয়ে বাঁ দিকের ওপরের কোণ দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল জেতে ২-১ গোলে।

আরও পড়ুন

এশিয়াড হকি: এশিয়ান গেমসে ইতিহাস! চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তানকে ১০ গোল দিল ভারত  

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version