ফুটবল বিশ্বের অন্যতম প্রতীক্ষিত ঘোষণা বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে করলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। কাতারের পর পশ্চিম এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসাবে সৌদি আরব আয়োজন করতে চলেছে ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। যদিও এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক ছিল প্রবল।
বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানায় কেবল সৌদি আরব। শুরুতে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াও আগ্রহ দেখালেও পরে তারা দাবি প্রত্যাহার করে নেয়। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে সৌদি আরবকে এই দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নরওয়ে ফুটবল সংস্থা। তাদের মতে, সৌদি আরবের মতো একটি দেশকে এমন দায়িত্ব দেওয়া ফিফার আদর্শের পরিপন্থী।
২০৩০ সালের আয়োজন ও শতবর্ষ উদযাপন
২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে ফিফার পরিকল্পনা আগেই পরিষ্কার হয়েছিল। স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো মূল আয়োজক হলেও আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ের মতো দেশগুলোতেও একটি করে উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এটি শতবর্ষ উদযাপনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি।
ফিফার যুক্তি
ফিফার বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্বকাপের আয়োজক দেশগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ফুটবলকে আরও বেশি দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে। দল সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খেলার গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং এটি নতুন দেশগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
সৌদি আরবের চ্যালেঞ্জ
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে সৌদি আরব বড় সুযোগ পেলেও মানবাধিকার ইস্যু এবং রাজনৈতিক বিতর্ক সামলানোর চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে থাকবে। তবে ফিফার সদস্য দেশগুলির ব্যাপক সমর্থন সৌদি আরবের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব ফুটবল প্রেমীরা এখন অপেক্ষায় ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের, যা আরও একবার পশ্চিম এশিয়ার ফুটবল মানচিত্রকে জাগিয়ে তুলবে।