Homeখেলাধুলোএশিয়ান গেমস ২০২৩: তিরন্দাজিতে সোনা, পদকের সংখ্যায় জাকার্তার রেকর্ড ভাঙল ভারত

এশিয়ান গেমস ২০২৩: তিরন্দাজিতে সোনা, পদকের সংখ্যায় জাকার্তার রেকর্ড ভাঙল ভারত

প্রকাশিত

হ্যাংঝাউ: এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে এত ভালো ফল আগে কখনও করেনি ভারত। মোট পদকের সংখ্যায় ভারত পেরিয়ে গেল তাদের জাকার্তা গেমসের রেকর্ড। ২০১৮ সালে জাকার্তায় ৭০টি পদক জিতেছিল ভারত। আর সোনা জয়ের হিসাবে আপাতত তারা জাকার্তা গেমসে পাওয়া ১৬টি পদকের রেকর্ড ছুঁয়েছে।

বুধবার সকালে তিরন্দাজিতে সোনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের পদক সংখ্যা দাঁড়ায়  ৭১। তার পর ব্রোঞ্জ পায় স্কোয়াশে মিস্কড্‌ ডাবলসে। ভারতের পদক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭২। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের পদকের সংখ্যা ছিল ৬৯। এর পর বুধবার সকালে প্রথম পদক আসে অ্যাথলেটিক্স থেকে। একটি ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাকার্তা গেমসের রেকর্ড ছোঁয় ভারত। তার পর তিরন্দাজিতে সোনার পদক ভারতকে সর্বাধিক পদকের রেকর্ডে নিয়ে যায়। এর পর স্কোয়াশে পদক।

গেমসের এখনও চার দিন বাকি। সুতরাং ভারতের পদকসংখ্যা যে অনেক বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিরন্দাজিতে সোনা  

বুধবার সকালে তিরন্দাজির কম্পাউন্ড মিস্কড্‌ দলগত বিভাগে সোনা জিতল ভারত। ভারতের জুটি জ্যোতি সুরেখা বেন্নাম এবং ওজাস প্রবীণ দেওতালে এই ইভেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ কোরীয় জুটি সো চেওন এবং জু জাইহুনকে ১৫৯-১৫৮ পয়েন্টে হারাল।

কমপাউন্ড মিক্সড ইভেন্টে মোট ৮টি রাউন্ড হয়। প্রতি রাউন্ডে ২০ পয়েন্ট। সুতরাং মোট ১৬০ পয়েন্টের খেলা হয়। ভারতের জুটি জ্যোতি আর ওজাস প্রথম রাউন্ডেই ২০ স্কোর করেন। অন্য দিকে কোরীয় জুটি ১ পয়েন্ট কম স্কোর করেন। ফলে প্রথম রাউন্ডেই এগিয়ে যায় ভারত।

তার পর সমানে সমানে খেলা চলতে থাকে। পঞ্চম রাউন্ডে ওজাস ৯ স্কোর করেন। ফলে ভারতীয় জুটির ১৯ হয়। কিন্তু কোরীয় জুটি ২০ করায় দু’ দলই পঞ্চম রাউন্ডের পর সমান পয়েন্টে চলে আসে। সপ্তম রাউন্ডে কোরীয় জুটি ১ পয়েন্ট কম স্কোর করেন। ফলে ভারত ১ পয়েন্টে এগিয়ে যায়। শেষ রাউন্ডে ভারতীয় জুটি ২০ স্কোর করায় কোরীয় জুটির আর কিছু করার ছিল না। ফলে ১৫৯-১৫৮ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে দেশের জন্য ১৬তম সোনা আনেন জ্যোতি ও ওজাস।

অ্যাথলেটিক্সে আরও ১টি ব্রোঞ্জ   

এ দিন সকালে আরও একটি পদক এসেছে অ্যাথলেটিক্স থেকে। এই নিয়ে অ্যাথলেটিক্সে পদকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। ৩৫ কিমি রেস ওয়াক মিস্কড্‌ দলগত বিভাগের ফাইনালে বাবু রাম ও মঞ্জু রানির জুটি তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পদক পেলেন।

২ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় করে বাবু রাম ছিলেন চতুর্থ স্থান এবং ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ড সময় করে মঞ্জু রানি ছিলেন ষষ্ঠ স্থানে। কিন্তু দু’ জনের মিলিত সময় দাঁড়ায় ৫ ঘণ্টা ৫১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড। এই সামগ্রিক সময়ের ভিত্তিতে তাঁরা তৃতীয় স্থান দখল করেন।

স্কোয়াশে ব্রোঞ্জ পদক

স্কোয়াশে মিস্কড্‌ ডাবলসের সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার আইফা বিনতি আজমান এবং মোহম্মদ সিফিক বিন মোহম্মদ কামাল জুটি ১১-৮, ২-১১, ৯-১১ ফলে হারান ভারতের দীপিকা অনাহত সিং এবং অভয় সিংয়ের জুটিকে। ফলে দীপিকা ও অভয় ব্রোঞ্জ পদক পান।

আরও পড়ুন   

এশিয়ান গেমস ২০২৩: আর একটা পদক পেলেই জাকার্তা এশিয়াডের রেকর্ড ছোঁবে ভারত

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

এশিয়া কাপ: পাকিস্তান ধরাশায়ী, গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতল ভারত  

পাকিস্তান: ১২৭-৯ (শাহিবজাদা ফারহান ৪০, শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩৩ নট আউট, কুলদীপ যাদব ৩-১৮,...

অসমে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, আতঙ্কে রাস্তায় নেমে এলেন মানুষ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১ মহিলার মৃত্যু

অসমে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বিস্তীর্ণ এলাকা। আতঙ্কে রাস্তায় ছুটে বেরোলেন মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনও স্পষ্ট নয়।

দক্ষিণদাড়ি ইয়ুথস, অ্যাসিড আক্রান্তদের লড়াইয়ে আলো ফেলছেন শিল্পী অনির্বাণ

২৫ বছরে দক্ষিণদাড়ি ইয়ুথসের দুর্গাপুজোর থিম ‘দহন’। শিল্পী অনির্বাণ দাস অ্যাসিড আক্রান্তদের যন্ত্রণা ও প্রতিবাদকে মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

বহুতল আবাসনে নতুন নির্মাণে সব ফ্ল্যাটমালিকের সম্মতি আবশ্যক, জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

বহুতল আবাসনে নতুন নির্মাণে সব ফ্ল্যাটমালিকের সম্মতি আবশ্যক, জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

আরও পড়ুন

কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের দাপট, ইউনাইটেড কলকাতাকে ৩-০ গোলে হারাল লাল-হলুদ

কলকাতা ফুটবল লিগে ঘরের মাঠে দুরন্ত জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। নসিব রহমান, পিভি বিষ্ণু ও গুইতের গোলে ইউনাইটেড কলকাতাকে ৩-০ গোলে হারাল বিনো জর্জের দল।

এশিয়া কাপ হকি: কোরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত, খুলে গেল বিশ্বকাপের দরজা

ভারত: ৪ (সুখজিৎ সিংহ, দিলপ্রীত সিংহ ২, অমিত রোহিদাস) কোরিয়া: ১ (সন দাইন) রাজগীর (বিহার):...

পুরুষদের দলগত কমপাউন্ডে সোনা, বিশ্ব তিরন্দাজিতে প্রথমবার ইতিহাস ভারতের

বিশ্ব তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার পুরুষদের দলগত কমপাউন্ড বিভাগে সোনা জিতল ভারত। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারাল ঋষভ যাদব, আমান সাইনি ও প্রথমেশ ফুগে।