সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৬৩ (১৮.৩ ওভার) (অনিকেত বর্মা ৭৪, হাইনরিখ ক্লাসেন ৩২, মিচেল স্টার্ক ৫-৩৫, কুলদীপ যাদব ৩-২২)
দিল্লি ক্যাপিটলস: ১৬৬-৩ (১৬ ওভার) (ফাফ ডুপ্লেসি ৫০, জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ৩৮, অভিষেক পোড়েল ৩৪ নট আউট, জিশান আনসারি ৩-৪২)
বিশিখাপত্তনম: প্রথমে বল হাতে মিচেল স্টার্কের দাপট, সঙ্গী কুলদীপ যাদব। পরে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে ব্যাটিং-এ ঝড় ফাফ ডুপ্লেসির। সঙ্গী জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও অভিষেক পোড়েল। এ বারের আইপিএল-এ পর পর দুটি ম্যাচে জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটলস। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হার। এর আগের ম্যাচেই তারা হেরেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর কাছে। এ দিন ৩৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন মিচেল স্টার্ক।
রবিবার বিশাখাপত্তনমের ড. ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে হায়দরাবাদই ব্যাটিং নেয়। এ বারের আইপিএল-এ টসে জিতে দলগুলি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, হায়দরাবাদ এ দিন কিন্তু সে পথে গেল না এবং না গিয়ে নিজেদের বিপদই ডেকে আনল। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৮ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে গেল হায়দরাবাদের ইনিংস। ইনিংসের গোড়ার দিকে ও শেষের দিকে স্টার্কের এবং মাঝখানে কুলদীপ যাদবের মোকাবিলাই করতে পারলেন না হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। একমাত্র ব্যতিক্রম অনিকেত বর্মা (৪১ বলে ৭৪ রান) এবং কিছুটা হাইনরিখ ক্লাসেন (১৯ বলে ৩২ রান)।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে হায়দরাবাদের। ৩৭ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন অনিকেত ও হাইনরিখ। কিন্তু দলের ১১৪ রানে মোহিত শর্মার বলে হাইনরিখ বিদায় নিতেই আবার উইকেট পড়া শুরু হয় হায়দরাবাদের। শেষ ৫ উইকেটে যোগ হয় মাত্র ৪৯ রান। ২২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন কুলদীপ যাদব।
দিল্লির জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬৪ রান। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় দিল্লিতে। ইনিংসের গোড়া থেকেই ঝড় তোলেন ডুপ্লেসি। তাঁকে সঙ্গ দেন ম্যাকগার্ক। ২৭ বলে ৫০ রান করে জিশান আনসারির বলে উইয়ান মুল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ডুপ্লেসি যখন বিদায় নেন, দলের রান তখন ৮১। জয় তখন ৮৩ রান দূরে, হাতে বল ১০.৫ ওভার। এর পর ম্যাকগার্ক (৩২ বলে ৩৮ রান) এবং কে এল রাহুল (৫ বলে ১৫ রান) আনসারির শিকার হলেও দিল্লির অসুবিধা হয়নি। বাকি কাজ অবিচ্ছেদ্য থেকে সমাধা করেন বাংলার অভিষেক পোড়েল (১৮ বলে ৩৪ রান) এবং ট্রিস্টান স্টাবস (১৪ বলে ২১ রান)। ২৪ বল বাকি থাকতেই দিল্লি। জিতে যায় ৭ উইকেটে।