গুজরাত টাইটান্স: ১৯৬-৮ (সাই সুদর্শন ৬৩, জোস বাটলার ৩৯, হার্দিক পাণ্ড্য ২-২৯)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৬০-৬ (সূর্যকুমার যাদব ৪৮, তিলক বর্মা ৩৯, প্রসিধ কৃষ্ণ ২-১৮, মহম্মদ সিরাজ ২-৩৪)
অহমদাবাদ: এবারের আইপিএল ভালো যাচ্ছে না রোহিত শর্মার। এ দিনও ব্যর্থ হলেন তিনি। ব্যর্থ হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। পর পর দুটো ম্যাচ হেরে গেল তারা। আর ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে জয়ে ফিরল গুজরাত টাইটান্স। সাই সুদর্শনের ব্যাটের জোরে গুজরাত ইনিংস শেষ করল ১৯৬ রানে। মুম্বই গুটিয়ে গেল ১৬০ রানে। মুলত প্রসিধ কৃষ্ণ ও মহম্মদ সিরাজের বল গুজরাতকে জয় এনে দিল ৩৬ রানকে। মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন প্রসিধ কৃষ্ণ।
সুদর্শনের পাশে থাকলেন শুভমন, বাটলার
শনিবার অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে গুজরাত টাইটান্সকে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরুটা বেশ ভালোই করে গুজরাত। সাই সুদর্শন এবং অধিনায়ক শুভমন গিলের জুটি ৮.৩ ওভারে যোগ করে ৭৮ রান। ২৭ বলে ৩৮ রান করে হার্দিক পাণ্ড্যর বলে নমন ধিরের বলে ক্যাচ দিয়ে শুভমন ফিরে যেতে সুদর্শনের সঙ্গী হন জোস বাটলার। ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে সুদর্শন-বাটলার জুটি। দলের ১২৯ রানে মুজিব উর রহমানের বলে রায়ান রিকেলটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বাটলার ফিরে যান ২৪ বলে ৩৯ রান করে।
১৩.৫ ওভারে গুজরাতের ওঠে ২ উইকেটে ১২৯ রান। তখনও ক্রিজে রয়েছেন সাই সুদর্শন। কিন্তু এর পর থেকে আর কোনো ব্যাটার যে ভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। এর পর ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দুশোর আগেই গুটিয়ে যায় গুজরাত। করে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান। সাই সুদর্শন করলেন ৪১ বলে ৬৩ রান। মুম্বইয়ের সব বোলার উইকেটগুলো ভাগ করে নেন। একমাত্র খালি হাতে থাকলেন মিচেল স্যান্টনার।

গুজরাতের জয়ের ভিত্তি গড়েন সাই সুদর্শন। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
সূর্যকুমার-তিলকের চেষ্টা ফলপ্রসূ হল না
রোহিত শর্মা এ দিনও ব্যর্থ হলেন। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেল মুম্বই। খেল দেখালেন গুজরাতের মহম্মদ সিরাজ। ৪ বলে ৮ রান করে সিরাজের বোল্ড হলেন রোহিত। আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটনও বোল্ড হলেন সিরাজের বলে। ৯ বলে তাঁর সংগ্রহ ৯ রান। ৩৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারাল মুম্বই। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিলক বর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব। দু’জনে ১১.৩ ওভারে রান নিয়ে গেলেন ৯৭-তে। ৩৬ বলে ৩৯ রান করে প্রসিধ কৃষ্ণের বলে রাহুল তেওটিয়াকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিলক বর্মা।
আবার দ্রুত উইকেট পড়তে থাকল মুম্বইয়ের। সূর্যকুমার যাদব (২৮ বলে ৪৮ রান) ছাড়া ব্যাটে আর বিশেষ কিছু করতে পারলেন না মুম্বইয়ের ব্যাটাররা। শেষ দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন নমন ধির ও মিচেল স্যান্টনার। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মুম্বই গুটিয়ে গেল ১৬০ রানে। নমন ও স্যান্টনার, দুজনেই ১৮ রান করে নট আউট থাকলেন।