রাজস্থান রয়্যালস: ১৫১-৯ (ধ্রুব জুরেল ৩৩, বরুণ চক্রবর্তী ২-১৭, মইন আলি ২-২৩, বৈভব অরোরা ২-৩৩)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২-১৫৩ (১৭.৩ ওভার) (কুইন্টন ডি কক ৯৭ নট আউট, ওয়াংডু হসরঙ্গ ১-৩৪)
গুয়াহাটি: না, ইদানীং আইপিএল-এর ম্যাচে যা হচ্ছে অর্থাৎ বড়ো রানের ইনিংস গড়ে লড়াই, বুধবার গুয়াহাটির মাঠে তা আর দেখা গেল না। রাজস্থান রয়্যালসকে অল্প রানেই বেঁধে রাখলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর বোলাররা। তার পর কুইন্টন ডি কক কার্যত একার দক্ষতায় কলকাতাকে জিতিয়ে দিলেন ৮ উইকেটে। শতরান থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকলেন তিনি এবং স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন।
১৫১-য় গুটিয়ে গেল রাজস্থান
বুধবার গুয়াহাটির বর্ষাপারা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠায় কেকেআর। শুরুটা খুব খারাপ করেনি রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনের ওপেনিং জুটিতে ৩.৫ ওভারে ওঠে ৩৩ রান। নিজস্ব ১৩ রানের মাথায় বৈভব অরোরাকে উইকেট দিয়ে সঞ্জু বিদায় নিলে যশস্বীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। ১৫ বলে ২৫ রান করে রিয়ান যখন বরুণ চক্রবর্তীর বলে ডি কককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তখন রাজস্থানের রান ৬৭। তার ২ রান পরেই যশস্বী ফিরে যান ২৪ বলে ২৯ রান করে মইন আলির বলে হর্ষিত রানাকে ক্যাচ দিয়ে।
এর পর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে রাজস্থানের। মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ধ্রুব জুরেল (২৮ বলে ৩৩ রান) এবং শেষ দিকে জোফ্রা আর্চার (৭ বলে ১৬ রান)। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫১ রান করে ইনিংস শেষ করে রাজস্থান। কেকেআর-এর পাঁচ বোলার, বরুণ চক্রবর্তী, মইন আলি, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা এবং স্পেনসার জনসন প্রতিপক্ষের উইকেটগুলো ভাগ করে নেন।

স্পিনের জাদু দেখালেন মইন আলি ও বরুণ চক্রবর্তী। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
জয়ে সহজেই পৌঁছোল কলকাতা
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা খুব একটা কঠিন ছিল না কেকেআর-এর। মইন আলিকে নিয়ে ইনিংসের গোড়া পত্তন করেন কুইন্টন ডি কক। ওপেনিং জুটিতে কার্যত ব্যাট করছিলেন ডি কক। মইন তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্য মইনের। ১২ বলে ৫ রান করে রান আউট হয়ে গেলেন। দলের রান তখন ৪১। তার অর্থ ওপেনিং জুটির ৪১ রানের মধ্যে মইনের সংগ্রহ মাত্র ৫। গত ম্যাচের সফলতম ব্যাটার দলের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডি কক। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ওয়াংডু হসরঙ্গের বলে তুষার দেশপাণ্ডেকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেলেন অজিঙ্ক ১৫ বলে ১৮ রান করে।
জয় থেকে কেকেআর তখন ৮১ রান দূরে, হাতে ৫৯ বল। অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে নিয়ে আসল কাজটি যখন সমাধা করলেন ডি কক তখনও ১৫ বল বাকি। কেকেআর ইনিংস শেষ করল ১৫৩ রানে। অর্থাৎ ৪৪ বলে ডি কক-রঘুবংশী জুটি অবিচ্ছেদ্য থেকে তুলল ৮৩ রান। ৬১ বলে ৬টি ছয় ও ৮টি চার-সহ ৯৭ করলেন ডি কক এবং ১৭ বলে ২২ রান করলেন রঘুবংশী।


