দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান, মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায় নেই প্যারিস অলিম্পিক্সে দুটি ব্রোঞ্জ পদকজয়ী মনু ভাকেরের নাম। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামাসুব্রমণিয়মের নেতৃত্বাধীন একটি ১২-সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মনুর নাম সুপারিশ করেনি বলে সূত্রের খবর।
ক্রীড়া মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মনু ভাকের এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করেননি। তবে মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকের দাবি করেছেন যে তাঁরা পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং কমিটির কাছ থেকে কোনো উত্তর পাননি।
রামকৃষ্ণ বলেন, “একই অলিম্পিকসে দুটি পদক জিতে যদি এমন হতাশ হতে হয়, তাহলে পুরস্কার পাওয়ার কোনো মানে নেই। সরকারি এক কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আর কমিটির সদস্যরা নীরব। এটা কি খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার সঠিক পদ্ধতি?”
প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারত ছয়টি পদক জয় করে, যার মধ্যে মনু ভাকের দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। তিনি মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে এবং সরবজোত সিংয়ের সঙ্গে মিশ্র ১০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে পদক জয় করেন।
২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন মনু ভাকের। এ বছর ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি আবেদন করেননি বলে জানা যায়। বিসিসিআইয়ের হস্তক্ষেপের পর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার কমিটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শামির নাম বিবেচনা করে।
মনু ভাকেরের বাবা বলেন, “কেন অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করবেন? বরং তাঁদের সরকারি চাকরির দিকে ঠেলে দেওয়া উচিত। পুরস্কারের জন্য আবেদন করেও আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। এটা হতাশাজনক।”
প্যারিসে সাফল্যের পর থেকে মনু ভাকের অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। টোকিও অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার পর প্যারিসে তিনি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন। তবুও খেলরত্নের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ায় ক্রীড়া মহলে জোর চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন: ‘মনে হয়েছিল সচিন আমাকে সাহায্য করেনি…’, বিনোদ কাম্বলির অকপট স্বীকারোক্তি


