Homeশরীরস্বাস্থ্যশপিংয়ের নেশা ছাড়তে পারছেন না? জানুন কারণ ও সমাধান

শপিংয়ের নেশা ছাড়তে পারছেন না? জানুন কারণ ও সমাধান

প্রকাশিত

কেনাকাটা করতে আমরা সকলেই কমবেশি ভালোবাসি। দোকান, বাজার, শপিং মলে ঘোরাঘুরি করে কেনাকাটাই হোক কিংবা অনলাইনে শপিং করা, সবেতেই স্বচ্ছন্দ আজকের আম জনতা। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মেও হরদমই নানান রকম পণ্যের বিজ্ঞাপন আসতে থাকে। হরেককিসিমের ছাড়ের কথা বলা হয়। অনলাইন হোক কিংবা অফলাইনে, এত সব বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতাদের মন প্রলুব্ধ হয় কেনাকাটা করতে। কিন্তু অনেক সময় আমরা নানান রকম অপ্রয়োজনীয় হাবিজাবি কেনাকাটা করে ফেলি। কেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না? অনিয়ন্ত্রিত ভাবনাচিন্তা না করে কেনাকাটা করার ফলে আর্থিক ভাবেও নানান অসুবিধায় পড়তে হয় আমাদের। কেন হয় এরকম? কমপালসিভ শপিং করতে কীসের থাকে তাড়না? কীভাবে করবেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ? 

বুঝেশুনে না কেনাকাটা করলে সাময়িক হয়ত মানসিক পরিতৃপ্তি মেলে। কিন্তু ভেবেচিন্তে বাছাই করে না কেনাকাটা করলে নতুন কেনা জিনিস রাখতে গিয়ে সমস্যা হয়। আর্থিক সমস্যা হয়। জরুরি অর্থের প্রয়োজন হলে তা করা যায় না। পরে নিজের মনেই অনুশোচনা হয়। ভেবেচিন্তে কেনাকাটা করার আগে প্র্যাক্টিক্যাল কিছু রণকৌশল নিতে হবে। 

প্রথমে চিন্তা করুন কেনাকাটা করতে কী আপনাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। হয়ত তা মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, একঘেয়েমি অনুভব করা এমনকি তীব্র মানসিক আনন্দও হতে পারে। ডিসকাউন্ট, সেল, ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রোমোশন দেখেও আপনার কেনাকাটা করার ইচ্ছে হতে পারে। পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে নতুন বৈদ্যুতিন গ্যাজেট বা জামাকাপড় দেখলে আপনারও মনে কেনার ইচ্ছে জাগতে পারে। ওই নির্দিষ্ট পণ্য আপনার কাছে না থাকলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন, এরকম অমূলক চিন্তাকে বলা হয় ‘ফিয়ার অফ মিসিং আউট’ বা ফোমো।

এমন বদভ্যাস কী করে কাটাবেন 

১) হাবিজাবি কেনাকাটা করার আগে সচেতন থাকুন। শপিংয়ের বাজেট তৈরি করে নিন।

২) কেনাকাটার লিমিট তৈরি করে নিন। কোনটা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী তালিকা তৈরি করুন। 

৩) নিজের আয়ের অংশ জমান। এতে হাবিজাবি কেনাকাটা করার ইচ্ছে জাগবে না।

৪) কেনাকাটা করার ইচ্ছে জাগলে সঙ্গে সঙ্গে কিনবেন না। পরে কেনার কথা ভাবুন। দেরি করলে ভাবনাচিন্তায় স্বচ্ছতা আসবে। 

৫) উদ্দেশ্য ঠিক করে কেনাকাটা করুন। অনলাইন হোক কিংবা অফলাইনে কেনাকাটায় কী কী কিনতে চান তার একটা তালিকা করে ফেলুন। 

৬) নগদে কেনাকাটা করুন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কমান। এতে বেশি খরচ করার প্রবণতা কমবে। 

৭) নিজের মনকে শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্মার্টফোনে প্রোমোশনাল ইমেইল বা শপিং অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, মানসিক উদ্বেগ ও একঘেয়েমি লাগলে কেনাকাটা করার ইচ্ছে জাগে মনে। তাই এরকম হলে বাগান করা, রান্না করা, আঁকা, নাচগানের মতো শৈল্পিক কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

৮) বাড়ি থেকে অপ্রয়োজনীয় হাবিজাবি জিনিস বাদ দিন। কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটিতে জোর দিন।

আরও পড়ুন

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।