লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২০৩-৮ (মিচেল মার্শ ৬০, আইডেন মার্করাম ৫৩, হার্দিক পাণ্ড্য ৫-৩৬)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৯১-৫ (সূর্যকুমার যাদব ৬৭, নমন ধীর ৪৬, দিগ্বেশ রাঠী ১-২১)
লখনউ: গত ম্যাচে নিজেদের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে হারের গেরো থেকে বেরিয়ে এসেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু আবার তারা হারের চক্করের পড়ে গেল। হার্দিক পাণ্ড্য প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর ৫ উইকেট তুলে নেওয়া সত্ত্বেও তা চূড়ান্ত ফলে কাজে এল না। মিচেল মার্শ, আইডেন মার্করাম এবং কিছুটা আয়ুশ বাদোনি আর ডেভিড মিলারের ব্যাটে ভর করে মুম্বইয়ের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল লখনউ, তা টপকাতে পারল না হার্দিক পাণ্ড্যর দল। শেষ পর্যন্ত ১২ রানে হেরে গেল তারা।
শুরুতেই ঝড় মার্শের, সঙ্গী মার্করাম
শুক্রবার লখনউয়ের ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাট করতে পাঠায় লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। ইনিংসের শুরুতেই ঝড় তোলেন মিচেল মার্শ। আইডেন মার্করামকে নিয়ে প্রথম উইকেটের জুটিতে মাত্র ৭ ওভারে যে ৭৬ রান ওঠে, তার মধ্যে ৬০ রানই আসে মার্শের ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৭৬ রান করে বিঘনেশ পুতুরের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে মার্শ আউট হয়ে গেলে মার্করামের সঙ্গী হন নিকোলাস পুরান। এর পর একটু দ্রুত উইকেট পড়লেও এক দিকে উইকেট ধরে রাখেন মার্করাম। এর মাঝে হতাশ করেন নিকোলাস পুরান আর অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দুজনকেই তুলে নেন হার্দিক।
১৯ বলে ৩০ রান করে আয়ুশ বাদোনি অশ্বনী কুমারের শিকার হয়ে যখন বিদায় নিলেন দলের রান তখন ১৫৮। এর পর মিলারকে সঙ্গে নিয়ে মার্করাম দলের রান পৌঁছে দিলেন ১৭৩-এ। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে পাণ্ড্যরই শিকার হলেন মার্করাম। তাঁর ৫৩ রানে ছিল ৪টে ছয় আর ২টো চার। তখনও ইনিংসের ২.১ ওভার বাকি। মূলত মিলারের চেষ্টায় রান উঠতে থাকে। দলের ২০০ রানে পাণ্ড্যরই বলে নমনকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিলার (১৪ বলে ২৭ রান)। শেষ পর্যন্ত লখনউ শেষ করে ৮ উইকেটে ২০৩ রানে।

‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন দিগ্বেশ রাঠী। Lucknow Super Giants ‘X’ থেকে নেওয়া।
জয় থেকে ১৩ রান দূরে থেকে গেল মুম্বই
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ফর্ম ভালো যাচ্ছে না আইপিএল-এ। তাই এ দিন তাঁকে বাদ দিয়েই দল নামায় মুম্বই। কিন্তু তাতে লাভ হল না। জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোনোর লড়াই করতে গিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে মুম্বই। ১৭ রানের মধ্যে বিদায় নেন উইল জ্যাকস ও রায়ান রিকেলটন। কিন্তু এর পরই হাল ধরেন নমন ধীর এবং সূর্যকুমার যাদব। তাঁরা দু’জনে দলের রান পৌঁছে দেন ৮.১ ওভারে ৮৬-তে। ২৪ বলে ৪৬ রান (৩টে ছয় ৪টে চার) করে দিগ্বেশ রাঠীর বলে বোল্ড হয়ে নমন বিদায় নিতে সূর্যকুমারের সঙ্গী হন তিলক বর্মা।
দলের রান এবার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন মুলত সূর্যকুমার। তিলককে নিয়ে দলের রান ১৫২-য় সূর্যকুমার যখন পৌঁছে দিলেন তখনও ইনিংসের ৩.৫ ওভার বাকি। জয় তখনও ৫২ রান দূরে। অবেশ খানের বলে আবদুল সামাদকে ক্যাচ দিয়ে ৪৩ বলে ৬৭ রান করে সূর্য বিদায় নেন। একটা শেষ চেষ্টা করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ১৬ বলে ২৮ রান করে নট আউট থাকলেন। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। মুম্বই লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৩ রান দূরে থেকে তাদের ইনিংস শেষ করে। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দেওয়ার জন্য ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর দিগ্বেশ রাঠী।
৪ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকল লখনউ সুপার জায়ান্টস। সম সংখ্যক ম্যাচে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থাকল সপ্তম স্থানে।