Homeখবররাজ্য‘অনুপ্রবেশ নয়, রক্ষা হোক বাংলার সংস্কৃতি ও গর্ব’, ছাব্বিশে বিজেপির সুর দূর্গাপুরের...

‘অনুপ্রবেশ নয়, রক্ষা হোক বাংলার সংস্কৃতি ও গর্ব’, ছাব্বিশে বিজেপির সুর দূর্গাপুরের মঞ্চ থেকে বেঁধে দিলেন মোদী

প্রকাশিত

১৮ জুলাই, কবি বিষ্ণু দে-র জন্মদিনে তাঁর নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুরের মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্গাপুরের জনসভা থেকে মোদী বলেন, ‘‘তৃণমূল বাংলার পরিচয় বদলে দিচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো নথি বানিয়ে দিচ্ছে। এটা শুধু বাংলার জন্য নয়, দেশের পক্ষেও বিপজ্জনক।’’

মোদীর অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে তৃণমূল এখন অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছে। দিল্লিতে সাংসদদের ধর্না, আদালতে মামলা—এই সব কিছুই সেই উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আসল রূপ প্রকাশ্যে এসেছে বলেই এখন ওরা সরাসরি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় নেমে পড়েছে।’’

কেন্দ্র যে অনুপ্রবেশের ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে অনড় থাকবে, তা স্পষ্ট জানিয়ে মোদী বলেন, ‘‘যে ভারতের নাগরিক, তার অধিকার থাকবে। আর যে অনুপ্রবেশকারী, তার বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলার গর্বে আঘাত লাগবে, বিজেপি সেটা হতে দেবে না। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’’

এই ভাষণে উঠে এসেছে বাংলার গর্বের প্রসঙ্গ। কবি বিষ্ণু দে-র জন্মদিনে মোদী বলেন, ‘‘বাংলা যাঁদের নিয়ে গর্ব করে, তাঁদের আত্মমর্যাদা রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার।’’ একই সঙ্গে উঠে আসে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত প্রথম বাঙালি মহিলা চিকিৎসক, যাঁর জন্মদিনও ১৮ জুলাই। সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘এটা কাদম্বিনীর বাংলার পরিচয় হতে পারে না।’’

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাংলাভাষীদের নানা রাজ্যে হেনস্থার পিছনে কেন্দ্রের ভূমিকা রয়েছে। দিল্লি, পঞ্জাব, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা-সহ বহু রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদেরা সংসদ থেকে রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন।

তবে মোদীর বক্তব্যে স্পষ্ট—২০২৬ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির মূল ইস্যু হবে ‘বাঙালিসত্তা বনাম অনুপ্রবেশের রাজনীতি’। প্রধানমন্ত্রীর কথা একদিকে বিষ্ণু দে, কাদম্বিনী, বিবেকানন্দ, নজরুলদের বাংলার মর্যাদা রক্ষা, অন্যদিকে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা।

বাংলার গর্ব, বাঙালির সংস্কৃতি এবং দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নকে এবার নির্বাচনের মূল মঞ্চে আনছে বিজেপি—এটাই শুক্রবারের বার্তার সারকথা।

আরও পড়ুন: সকাল ৯টা থেকে ১১ টা মিছিল নয়, ২১ জুলাই শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কড়া নির্দেশ হাই কোর্টের

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বিহারে ভোট রেকর্ড! প্রথম দফায় ৬৪.৬৬% ভোট, আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ৯% বেশি — কারণ কি এসআইআর?

বিহারের প্রথম দফার ভোটে রেকর্ড অংশগ্রহণ — ৬৪.৬৬% ভোট পড়েছে ১২১টি কেন্দ্রে। আগের লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের তুলনায় ভোট বৃদ্ধি প্রায় ৯ শতাংশ, এসআইআর পরবর্তী বিতর্ক সত্ত্বেও ভোটার সংখ্যা কমেনি।

জেএনইউ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বাম ঝড়, চারটি পদই বাম ঐক্যের দখলে

নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আবার বাম ঐক্যের জয়জয়কার। চারটি মূল...

ওয়াশিংটন-অক্ষরের দাপটে সিরিজ ২-১ করল ভারত, চতুর্থ টি২০ ম্যাচে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া

ভারত: ১৬৭-৮ (শুভমন গিল ৪৬, অভিষেক শর্মা ২৮, নাথান এলিস ৩-২১, অ্যাডাম জাম্পা ৩-৪৫) অস্ট্রেলিয়া:...

এইচএমআই-তে উদ্বোধন, সি এক্সপ্লোরার্স ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পেন্টাথেলন প্রতিযোগিতার সূচনা সান্দাকফু থেকে

খবর অনলাইন ডেস্ক: সি এক্সপ্লোরার্স ইনস্টিটিউট ২০২৫ সালে আবার তাদের অনন্য ও চ্যালেঞ্জিং পেন্টাথেলন...

আরও পড়ুন

বিএলও বা বিএলএ-দের হাতে এসআইআর-এর নথি নয়! বিভ্রান্তি কাটাতে জানিয়ে দিল কমিশন

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশ। বিএলও-দের হাতে কোনও নথি দেওয়ার দরকার নেই। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ সময় কাজ করবেন ডিইও, ইআরও ও বিএলওরা।

‘দিদি আছে, ভয় পাবেন না, দরকারে থালাবাটি বেচে…!’ এসআইআর ইস্যুতে বার্তা মমতার, অভিষেকের দিল্লি অভিযানের ঘোষণা

কলকাতায় সংবিধানের কপি হাতে তৃণমূলের মিছিল। এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে মমতার বার্তা—“দিদি আছে, ভয় পাবেন না।” অভিষেক জানালেন, দু’মাসের মধ্যে হবে দিল্লি অভিযান।

ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে, আবার কী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে?

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার পর ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে তা। উত্তাল থাকবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের সতর্কতা। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা।