দেশে গত কয়েক বছরে বিমানের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এতদিন যাত্রীরা অভিযোগ করলেও, এবার এই বিষয়ে একমত হলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু। কোভিডের পর থেকে বিমানের ভাড়া ‘উল্লেখযোগ্য হারে’ বেড়েছে বলে জানান তিনি। টিডিপির এই সাংসদ নিজেই একজন যাত্রী হিসেবে এর ভুক্তভোগী হয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের এই মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তার মন্ত্রক ভাবনাচিন্তা করছে।
বৃহস্পতিবার ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নাইডু বলেন, “কোভিডের সময় থেকেই বিমানের ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একজন যাত্রী হিসাবে আমি নিজে এই ভাড়াবৃদ্ধির সাক্ষী। আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছি।”
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান যাত্রীদের সংখ্যা ২০২৩ সালে আগের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০৩০ সালে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নানা সংকটের কারণে সার্বিক যোগান-শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিমান পরিষেবার খরচ বেড়েছে।
আরও পড়ুন
- আইএসএল: একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে মুম্বইয়ের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল মোহনবাগান
- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরও ১৫ দিন বৃদ্ধি
- বদলে গেল পোর্ট ব্লেয়ারের নাম, এবার কী নামে ডাকা হবে?
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিমানের ভাড়া সকলের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। নাইডু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা চাই সকলে আরও সহজে বিমানকে তাঁদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করুক।” যাত্রীদের সুরক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও তারা সর্বাধিক নজর দিচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।
বিমানের ভাড়া বৃদ্ধির ফলে অনেক যাত্রীই অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের মন্ত্রক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করছে। মন্ত্রী নাইডুর এই বক্তব্যের পর, আশা করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে বিমানের ভাড়া কিছুটা হলেও কমতে পারে এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য আরও সহজলভ্য হবে।