নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মূল সুদের হার বা রেপো রেট নিয়ে স্বস্তির খবর শোনালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। শুক্রবার তিনি জানালেন, মূল সুদের হারকে আবার এক বার ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
আগামী মাসগুলিতে খাদ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি এবং প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির চেয়ে ভাল হওয়ার প্রত্যাশার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই-এর মুদ্রা নীতি কমিটি (MPC)।
ক্রমবর্ধমান সুদের হার থেকে ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড়ো স্বস্তি নিয়ে এসেছে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছর। এর আগেও মুদ্রানীতি কমিটির চারটি বৈঠকে রেপো রেট নিয়ে সাধারণের স্বস্তিদায়ক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল আরবিআই। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় বৈঠকে মূল সুদের হারকে আবারও এক বার ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
বলে রাখা ভালো, আরবিআই-এর রেপো রেট হল একটি মূল ঋণের হার। রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যার নিরিখে আরবিআই অন্যান্য ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়। এর অর্থ, গ্রাহককে দেওয়া ব্যাঙ্কের ঋণের সুদের হারও অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম বারের মতো রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকল।
আরবিআই গভর্নর জানান, হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ মেটাতে ইউপিআই পেমেন্টের সীমা প্রতি লেনদেনে ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা হলেও ইতিবাচক লক্ষণ দেখাচ্ছে। মূল মুদ্রাস্ফীতি গত বছরে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তবে, অনেক দেশে নির্ধারিত লক্ষ্যের উপরে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। সেই জায়গায় ভারতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা এবং গতির ছবি স্পষ্ট। বাহ্যিক ভারসাম্যও সুনিশ্চিত ভাবে পরিচালনাযোগ্য। এই মৌলিক বিষয়গুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য আরবিআই-এর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান আরবিআই গভর্নর।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এর আগেও, চারটি বৈঠকে রেপো রেট অপরির্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরবিআই। স্বাভাবিক ভাবে, পর পর পাঁচ বার সুদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড়োসড়ো স্বস্তি এনেছে। কারণ, ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক দফায় ২৫৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল রেপো রেট।
এমনিতেই গত দু’বছর ধরে আরবিআই যতবার রেপো রেট বাড়িয়েছে, অন্য ব্যাঙ্কগুলিও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঋণের সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এর ফলে গাড়ি, বাড়ি, পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইএমআই গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে রেপো রেট আরও বাড়ানো হলে তা মধ্যবিত্ত শ্রেণির পকেটে প্রভাব ফেলতে বাধ্য!
আরও পড়ুন: ‘আমাকে মোদীজি বলবেন না, আমি শুধুই মোদী’, সংসদীয় দলের বৈঠকে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর