অজন্তা চৌধুরী
সারা বাংলা রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা ‘গানের ভিতর দিয়ে’-র এ বছরের শুভ সূচনা হল সম্প্রতি। ‘নব রবি কিরণ’-এর কর্ণধার এবং ‘নব নালন্দা সংগীত শিক্ষায়তন’ আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা এ বছর তৃতীয় বছরে পড়ল।
‘গানের ভিতর দিয়ে’ হল রবীন্দ্রসংগীতকে কেন্দ্র করে সারা বাংলা রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা। শহর থেকে শহরতলি, জেলা থেকে জেলা, ঘর থেকে ঘরে রবীন্দ্রগানে প্রতিভার অন্বেষণ। এমনই ভাবনা নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল ‘গানের ভিতর দিয়ে’। ‘নব রবি কিরণ’-এর কর্ণধার এবং ‘নব নালন্দা সংগীত শিক্ষায়তন’-এর অধ্যক্ষ অরিজিৎ মিত্রের উদ্যোগে ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর সূচনা হয় এই রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতার।
গত ২০ জানুয়ারি নালন্দা ভবনে তৃতীয় বর্ষের ‘গানের ভিতর দিয়ে’ রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা হল। ওই দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানা গেল, ‘উন্মেষ’ (১০ থেকে ১৪ বছর), ‘বিকাশ’ (১৫ থেকে ১৮ বছর) এবং ‘ঐশ্বর্য’ (১৯ বছর ও তার তার ঊর্ধ্বে) এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ১২ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রতিটি বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীদের ‘নব রবি কিরণ’-এর ইউটিউব চ্যানেলে একটি করে মিউজিক ভিডিও করার সুযোগ থাকবে এবং তারা নব নালন্দা রবীন্দ্রস্মরণ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ওই দিনই প্রতিযোগিতার ফর্ম দেওয়া শুরু হয়। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ মার্চ। আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে নালন্দা ভবন, বাওয়ালি মণ্ডল রোড এবং নব নালন্দা শান্তিনিকেতনে (পশ্চিম পল্লি)। www.nrkevents.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এবং অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করা যাবে। ২৮ এপ্রিল অহীন্দ্র মঞ্চে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায় অর্থাৎ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
‘গানের ভিতর দিয়ে’ প্রতিযোগিতার তৃতীয় বর্ষের সূচনা-অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অপালা বসু সেন, প্রবুদ্ধ রাহা, চন্দ্রাবলি রুদ্র দত্ত, অ্যারিনা মুখার্জি, অরিত্র দাশগুপ্ত, সৈকত শেখরেশ্বর রায়, দীপাবলি দত্ত, সিসপিয়া ব্যানার্জি, শীর্ষ রায় প্রমুখ সংগীতশিল্পী।
ওই অনুষ্ঠানে অরিজিৎ মিত্র বলেন, “দুটো বছর সফলতার সঙ্গে ‘গানের ভিতর দিয়ে’ রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজিত হওয়ার পর আজ তৃতীয় বর্ষের শুভ সূচনা হল নালন্দা ভবনে। এই প্রতিযোগিতায় ‘উন্মেষ’, ‘বিকাশ’ এবং ‘ঐশ্বর্য’, এই তিনটি বিভাগ থাকে। কলকাতার প্রথিতযশা সংগীতশিল্পীরা থাকেন বিচারকের আসনে। এ বারও থাকবেন। এই প্রতিযোগিতার কারণ, গ্রামেগঞ্জে অনেক সুপ্ত প্রতিভা আছে কিন্তু তারা তেমন সুযোগ পায় না বলে তাদের প্রতিভার যথাযথ প্রকাশ ঘটে না। আমরা আমাদের স্বল্প পরিসরে চেষ্টা করে চলেছি সে সব সুপ্ত প্রতিভা অন্বেষণের। রবীন্দ্রনাথ আমাদের গৃহ এবং তাকে ছাড়া সংস্কৃতির কোনো কাজ করার কথা ভাবাই যায় না।”
অরিজিৎবাবু আরও বলেন, “আজই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমেই শুরু হয়ে গেল আমাদের অনলাইন এবং অফলাইন ফর্ম ডিস্ট্রিবিউশন। বরাবরই বলে আসছি এটা কোনো রিয়েলিটি শো নয়, রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা। তাই কে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হল, সেটা বড়ো কথা নয়। আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করুক।”
আরও পড়ুন
চিত্রসাংবাদিকদের উদ্যোগে কলকাতায় চতুর্থ বর্ষ সরস্বতী পুজো ও চিত্রপ্রদর্শনী