নারী শক্তির ক্ষমতায়নে মেয়েরা চাইলে সব পারে। একদিকে যেমন রান্নাঘর সামাল দিতে পারে তেমনই যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে। এঁরা সাহসী, শক্তিশালী, ক্ষিপ্র। যাঁরা দেশের গৌরব। যুদ্ধক্ষেত্রে পারদর্শী।
১। সার্জেন ভাইস অ্যাডমিরাল শৈল এস.মাঠাই
ভারতীয় নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন ৩৬ বছর। তিনি প্রথম মহিলা যিনি ভারতীয় নৌবাহিনীতে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২। পুনিতা আরোরা-প্রথম মহিলা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীতে বহু মহিলা অফিসার রয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম মহিলা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ছিলেন পুনিতা আরোরা। পাকিস্তানের লাহোরে ১৩ অক্টোবর ১৯৩২ সালে জন্ম নেন পুনিতা। পুনিতা আরোরা ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ২০০৪ সালর ভারতীয় নৌবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে ছিলেন। ৩৬ বছর নৌবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে মোট ১৫টি পদক পেয়েছেন।
৩। পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল। ১৯৬৮ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগ দেন পদ্মাবতী। ৩৪ বছর পর দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালে এয়ার ভাইস মার্শালের পদ পান তিনি।
৪। মিতালি মধুমিতা
কর্নেল মিতালি মধুমিতা ২০০০ সালে একটি শর্ট সার্ভিস কমিশনে যোগদান করেন সেনাবাহিনীতে। আর্মি এডুকেশন কর্পসের অংশ ছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাজ করেছেন কাবুলে। জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বেও পোস্ট করা হয়েছে তাঁকে। কর্নেল মিতালি মধুমিতা ২০১১ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের কাবুলে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভারতীয় দূতাবাসে হামলার সময় দেখানো অনুকরণীয় সাহসের জন্য পেয়েছিলেন সেনা পদক। এই সময় তিনি মেজর ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর ও ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে অপারেশন করেছিলেন।
৫। মাধুরী কানিতকার
মাধুরী কানিতকার হলেন প্রথম মহিলা শিশু বিশেষজ্ঞ যিনি ভারতীয় সেনা বাহিনীতে মহিলা অফিসারের তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। মেজর জেনারেল মাধুরী কনিতকরকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের অধীনে পোস্ট করা হয়। এই পদের প্রধান দায়িত্ব যৌথ পরিকল্পনা ও পরিষেবা পরিচালনায় বৃহত্তর সংযোগের জন্য বরাদ্দ বাজেটের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মাধুরী জানিয়েছিলেন, দেশের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে তাঁর পোস্টিং হয়নি। সব কাজে তাঁর উৎসাহ, দক্ষতা, পারদর্শিতা খুব সহজেই পেশাগত ভাবে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে তাঁকে।