ক্রীড়া জগতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বরাবরই মহিলারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। দলগত খেলা থেকে ব্য়ক্তিগত খেলা সব জায়গাতেই ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদদের দাপট দেখা গেছে। সেই গত শতাব্দীর নয়ের দশকে পিটি ঊষা থেকে শুরু করে এখনকার দিনের সানিয়া, সাইনা, সাক্ষী, দীপা, হিমা তালিকাটা অনেক লম্বা হতে পারে।
১। সানিয়া মির্জা
সানিয়া মির্জা ভারতের টেনিসে বরাবরই দাপট দেখা গিয়েছে পুরুষ খেলোয়াড়দের। সানিয়াই প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতেন। এখনও পর্য়ন্ত তিনি ৬টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন। ডাবলস খেলোয়াড় হিসেবে একসময়ে তিনি বিশ্বে শীর্ষস্থানে ছিলেন। দেশকে বহু আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন তিনি। ভারত সরকার তাঁর কীর্তিকে সম্মান জানাতে তাঁকে অর্জুন, পদ্মশ্রী, খেলরত্ন, প্দ্মভূষণ পুরস্কার দিয়েছে।
২। সাইনা নেহওয়াল
সাইনা নেহওয়াল ভারত যে এখন ব্য়াডমিন্টনে অলিম্পিকে নিয়মিত পদকের আশা করতে পারছে সেই জায়াটা তৈরি করে দিয়েছেন সাইনা নেহওয়াল। তিনি না আসলে ভারত সিন্ধুকে পেত কিনা সন্দেহ আছে। সাইনাই প্রথম দেখিয়েছিলেন ব্য়াডমিন্টন বিশ্বে ভারত বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ভারতীয় শাটলার যিনি বিশ্বক্রমে এক নম্বরে পৌঁছেছিলেন। ২০১২ সালের অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদকজয়ী এখনও দেশকে মুঠো মুঠো পদক দিয়ে চলেছেন।
৩। মেরি কম
মেরি কম তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে, সংসার সামলে ৩৬ বছর বয়সেও বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন মেরি কম। ভারতীয় বক্সিং-এর আইকন বলা যায়। বক্সিং বিশ্বেই তিনি রেকর্ড ৬ বার বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন হয়ে কিংবদন্তির জায়গায় চলে গেছেন। পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, খেলরত্ন, অর্জুন-সহ অসংখ্য সম্মান পেয়েছেন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্যও বটে।
৪। হিমা দাস
হিমা দাস ১৯৯৪ যে স্বপ্ন ভারতকে দেখিয়েছইলেন ঊষা তার উত্তরাধিকার বইছেন হিমা দাস। অসমের এই ক্রীড়াবিদ মাত্র ১৯ বছর বয়সেই দেশের খেলাধূলার জহতে কিংবদন্তির জায়ায় চলে গিয়েছেন। আইএএএফ অনুর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন। এটিই ছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে কোনও ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদের প্রথম স্বর্ণপদক। তাঁর সামনে এখনও অনেক শৃঙ্গজয় বাকি। তাকে নিয়ে অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন দেখছে দেশ।
৫। মিতালী রাজ ও ঝুলন গোস্বামী
মিতালী-ঝুলনরা দেশের মহিলা ক্রিকেটের অবস্থাটাই পাল্টে দিয়েছেন। সম্প্রতি ২০০ ওএকদিনের ম্য়াচ খেলেছেন মিতালী। বিশ্বে প্রথম মহিলা হিসেবে ৬০০০ রানের গন্ডিও অতিক্রম করেছেন। অপরদিকে ঝুলন একদিনের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারী। ৩৬ বছর বয়সে এসে ফের বিশ্বের ১ নম্বর বোলার হয়েছেন। এই দু’জনকে দেখেই কিন্তু স্মৃতি মান্ধানা, হরমনপ্রিত কৌর, শিখা পান্ডে, জেমাইমা রড্রিগেজরা উঠে এসেছেন।