একটি শক্তিশালী দেশ কখন হয় জানেন? সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন কেন করা হয়, জানা আছে? এই সেনাবাহিনীর মূল রন্ধ্রে মেয়েদের জায়গা কতটা মজবুত, সেই নিয়ে কৌতূহল আছে কি না জানা নেই, তবে নারীশক্তির যে দিন দিন ক্রমবর্ধমান তা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহিলা সেনাবাহিনীর চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন।
এতদিন পর্যন্ত শুধু অফিসার পদে মহিলা নিয়োগ করত ভারতীয় সেনা। কিন্তু তা ছিল বেশ কম। পদাতিক বাহিনী, যুদ্ধ ক্ষেত্র, সাঁজোয়া বাহিনী, যন্ত্রনির্ভর বাহিনীতে মহিলাদের স্থান ছিল না। ছবিটা পাল্টায় ২০১৯ সালে। প্রথম সামরিক বাহিনীতে মহিলা নিয়োগে সম্মতি জানায় ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় সেনায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি দেরিতে হলেও, এই বিষয়ে সবার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল ত্রিপুরা সরকার। তাদের আধাসামরিক বাহিনীতে স্থান পেয়েছিলেন মহিলারা।
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের কোনও সেনাবাহিনীতেই মহিলাদের সুযোগ ছিল সিকিভাগেরও কম। আর যুদ্ধের জন্য মহিলাদের ভূমিকার কথা তো কেউ ভাবতেই পারে না। যোদ্ধার বেশে পুরুষকেই মানায়। জীবনযুদ্ধে মহিলারা ঢাল-বন্দুক নিয়ে দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু দেশের জন্য বীর হয়ে প্রাণত্য়াগ করার সাহস যে একজন মহিলার থাকতে পারে, তা কস্মিনকালে কোনও পুরুষের মাথায় আসেনি।
আর সেই ধারাই এখন ঘড়ির কাটার মত বদলে যাচ্ছে। চিত্রটা ধীরে ধীরে বদল হতে শুরু করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও মেয়েদের ভূমিকা যে সীমিত ছিল. তার পর্দা উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে। যার ফলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অন্তত প্রশ্ন জাগতে বাধ্য, কোনও দেশের মহিলা সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী।
চিন- পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর দুই-তৃতীয়াংশ তার স্থল বাহিনী নিয়ে গঠিত। যা অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সমতুল্য। ইউএস কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের মতে, এর পরিমাণ ১.৬ মিলিয়ন, যা চিনের বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর দ্য সোশ্যাল স্টাডিজ রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের সেনাবাহিনীতে মহিলা সেনার সংখ্যা প্রায় ৪.৫ শতাংশ।