খবর অনলাইন ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন কলকাতার মেয়ে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে ৭৭ বছরের ইতিহাসে যা আগে কখনও হয়নি, তা-ই হল। এই প্রথম কোনো ভারতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন।
৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আন সার্টেন রিগার্ডস’ বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিলেন কলকাতার লেক গার্ডেন্সের মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত। ‘দ্য শেমলেস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেলেন। দিল্লির এক পতিতালয় থেকে শুরু হওয়া এই হিন্দি ছবিটির পরিচালনা করেছেন বুলগেরিয়ান পরিচালক কনস্তান্তিন বোজানোভ। ছবির কাহিনিও তাঁর লেখা। গল্পের মুখ্য চরিত্র রেণুকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনসূয়া।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী অনসূয়ার কর্মজীবন শুরু বেশ কয়েক বছর আগে। এর আগে বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অঞ্জন দত্তের ‘ম্যাডলি বাঙালি’ ছবিতে তাঁকে তানিয়ার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রে’ সিরিজ়েও কাজ করেছেন তিনি। তবে তিনি যে শুধু অভিনয়ই করেন তা নয়, বলিউডে প্রোডাকশন ডিজ়াইনার হিসেবেও পরিচিত অনসূয়া।
‘দ্য শেমলেস’ ছবির কাহিনি দিল্লির এক পতিতালয় থেকে শুরু। গল্পের মুখ্য চরিত্র রেণুকা এক পুলিশ আধিকারিককে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার পর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে আলাপ হয় ১৭ বছরের যৌনকর্মী দেবিকার সঙ্গে। ‘দেবিকা’ গল্পের দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্র। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা থেকে তৈরি হয় ভালোবাসা। দু’জনের ভালোবাসা আর দ্বন্দ্বই ‘দ্য শেমলেস’ ছবির মূল কাহিনি।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ থেকে যখন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল, তখন প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত হুঁশ ফিরতেই আনন্দে চেয়ারে বসেই নাকি নাচতে শুরু করে দেন। বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্মান শিখরে তুলে দেশে ফিরেছেন অনসূয়া। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “খুব ভালো লাগছে। আমি এখন পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। দিনদুয়েক বিশ্রাম নেব।”
আরও পড়ুন
লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অভিনেত্রী বিপাশা বসু
হাসপাতাল থেকে ফিরেই আইপিএল ফাইনালে শাহরুখ, মুখে মাস্ক, পাশে স্ত্রী গৌরী