Home বিনোদন দীর্ঘদিন বেকার, তারপর রোজগার ৫০ টাকা, শেষ পর্যন্ত একটা টিভি সিরিয়াল মোড়...

দীর্ঘদিন বেকার, তারপর রোজগার ৫০ টাকা, শেষ পর্যন্ত একটা টিভি সিরিয়াল মোড় ঘুরিয়ে দিল জীবনের

0

শরদ সঙ্কলাকে চেনেন? চেনেন না তো! না চেনাই স্বাভাবিক। আচ্ছা আবদুলকে চেনেন? কোন আবদুল? এর উত্তর দিলে তো নির্ঘাত চিনে ফেলবেন। হ্যাঁ, হিন্দি সিরিয়ালের আবুদল। চিনে ফেলেছেন তো! ঠিক ধরেছেন ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র আবদুল, গোরেগাঁওয়ে গোকুলধাম সোসাইটির আবাসনে ঢোকার মুখে যে ‘অল ইন ওয়ান জেনারেল স্টোর্স’ তার মালিক।

জনপ্রিয়তম হিন্দি সিরিয়াল ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’। ষোলো বছর ধরে দেশের আপামর দর্শককে মাতিয়ে রেখেছে। এই সিরিয়ালে আবদুল-এর চরিত্রে অভিনয় করার আগে, শরদ সঙ্কলাকে যে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেই কাহিনি শুনলে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতে হয়।    

শরদের অভিনয়-জীবনের শুরু ১৯৮৩-তে, ‘দূরদেশ’ ছবির মধ্য দিয়ে। ভালো নকল করতে পারেন শরদ। আর চার্লি চ্যাপলিন সাজলে শরদকে আচরণে, ভাবভঙ্গিমায়, কথাবার্তায় চার্লির থেকে আলাদা করা যেত না। ৯০-এর দশকটা এভাবেই চালিয়ে গিয়েছেন শরদ। ওই সময়ে শরদকে চার্লিই বলা হত। ‘খিলাড়ি’ আর ‘বাজিগর’-এ চার্লির চরিত্রেই অভিনয় করেন। শরদ চার্লির ভূমিকায় অভিনয় করছেন ২৯ বার, আর ৩০টিরও বেশি ফিল্‌মে অভিনয় করেন।

এতগুলি ফিল্‌মে অভিনয় করার পরেও শরদের জীবনে দীর্ঘ একটা সময় গিয়েছে যখন তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না। চলচ্চিত্রনির্মাতাদের দোরে দোরে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো কাজ পাননি। এইভাবে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৮টা বছর। এদিক-ওদিক টুকটাক কাজ করে কোনোরকমে জীবনধারণ করেছেন শরদ। মাঝে অবশ্য কখনও পরিচালকের সহকারী, কখনও আসিস্ট্যান্ট কোরিওগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছেন।

‘তারক মেহতা…’র প্রযোজক অসিত মোদী শরদের ভালো বন্ধু। সেই বন্ধু এগিয়ে এলেন একদিন। একটা ছোটো ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য শরদকে অনুরোধ করেন। শরদ খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। তবু ভাবলেন, দেখাই যাক না কী হয়! সিরিয়ালে প্রথম দিন অভিনয় করে শরদ পেলেন ৫০ টাকা।

সেই শুরু। আবদুলকে চিনে ফেলল টিভি দর্শকরা। শুধুই চিনেই ফেলল না, আপন করে নিল। শরদের কথায়, “একজন হিন্দু একজন মুসলমানের চরিত্রে অভিনয় করছে, আর মানুষ আমাকে এত ভালোবাসা দিচ্ছে (এক হিন্দু, এক মুসলমান কা রোল কর রহা হ্যায়, আওর লোগ মুঝে ইতনা প্যায়ার দেতে হ্যাঁয়)।”

মিডিয়ার খবর, এখন প্রতি এপিসোড বাবদ শরদ পান ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। মুম্বইয়ের দুটি রেস্তোরাঁর মালিক শরদ – একটি জুহুতে ‘পার্লে পয়েন্ট’ এবং দ্বিতীয়টি আন্ধেরিতে ‘চার্লি কাবাব’। জীবনে অনেক ঝড়ঝাপটার মধ্য দিয়ে গিয়ে এখন অনেকটাই থিতু হয়েছেন শরদ সঙ্কলা তথা আবদুল।

আরও পড়ুন

আরজি কর-কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন বলিউড তারকারা, প্রতিবাদ করিনা, প্রীতি জিন্টাদের

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version