ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি। বায়ুদূষণের কারণ হিসাবে মূলত ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোকেই দায়ী করা হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা গিয়েছে, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার মতো রাজ্যে যেখানে আগে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো থেকে ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণ হত সেখানে ফসল পোড়ানোর ঘটনা কমেছে আর দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ আর রাজস্থানে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ১৭,০০৩টি ঘটনা ঘটেছে। গত বছর শুধুমাত্র পঞ্জাবেই ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ২৩,৬২৬টি ঘটনা ঘটে। সেটি এ বার কমে হয়েছে ৬৬১১টি, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গত বছরের ১৬৭৬টি ঘটনার থেকে এ বছর হরিয়ানায় ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা কমে হয়েছে ৯৮১। অন্য দিকে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে।
আইআইটি দিল্লির পিএইচডি গবেষক কুসুম সাইনির নেতৃত্বে গবেষকদল বিশেষ উপায় বের করেছে। তাঁদের মতে, বায়ুদূষণ আটকাতে ফসলের অবশিষ্টাংশ বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। ইনসুলেশন আর স্ট্রাকচার বা কাঠামো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, এর ফলে গ্রামাঞ্চলে অনেক কম খরচে টেকসই বাড়ি তৈরি করা সম্ভব। এ সব জিনিস দিয়ে তৈরি বাড়ি আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা হতদরিদ্র পরিবারের জন্য মাথা গোঁজার বিকল্প আশ্রয় হতে পারে। ফসলের অবশিষ্টাংশ দিয়ে তৈরি বাড়ি হেসেখেলে ২০ বছর টিকতে পারে। আগুন ও জল প্রতিরোধ করতে পারে।
আইআইটি দিল্লির গবেষকদের মতে, ফসলের অবশিষ্টাংশ দিয়ে তৈরি ইটের প্রতি পিসের খরচ পড়বে ২০-৩০ টাকা। কিন্তু বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করলে খরচ কমে আসবে ৫ টাকা প্রতি পিসে।