Homeশরীরস্বাস্থ্যইউরিক অ্যাসিড কমাতে কোন বাদাম খাবেন? জানুন কাঠবাদাম–আমন্ডের গুণ

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কোন বাদাম খাবেন? জানুন কাঠবাদাম–আমন্ডের গুণ

প্রকাশিত

কিছু খাবারে পিউরিন নামক পদার্থ আছে যা শরীরের মধ্যে ভেঙে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছে যায়। তারপর তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যদি ইউরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হতে থাকে তাহলে গাঁটে গাঁটে বাত, কিডনির পাথর হয়। 

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ রক্তে বাড়লে কোন কোন ড্রাই ফ্রুটস খেলে কী উপকার হয় 

১) ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিনে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম খেলে গাঁটে গাঁটে ফোলা ভাব কমে। আমন্ড বাদামে কম পরিমাণ পিউরিন আছে। তাই যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে তাহলে আমন্ড বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়। 

২) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ কাঠবাদামে রয়েছে কম পিউরিন তাই গাঁটে গাঁটে ফোলা ভাব ও শক্ত হয়ে থাকা কমে। 

৩) পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন বি৬ যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কিডনি থেকে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। 

৪) ফ্যাট, দস্তা, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ কাজুবাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়, গাঁটের ব্যথা দূর হয়। 

রোজ কাঠবাদাম ও আমন্ড বাদাম খেলে কী হয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। নিয়মিত আমন্ড বাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায় রাইবোফ্ল্যাভিন ও এল-কারনিটিন নামক পদার্থে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম। ফাইবার ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম খেলে খাইখাই ভাব দূর হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদামকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউজ। ভিটামিন ই আছে বলে আমন্ড বাদাম খেলে মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে রক্ষা করে। ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম রোজ খেলে ধৈর্য্য বাড়ে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন ই আছে আমন্ড বাদাম খেলে ত্বকের কোষ সুরক্ষিত থাকে। ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আমন্ড বাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলে ভেজানো আমন্ড বাদাম খাওয়া উচিত। আমন্ড বাদামের মতো খালি পেটে রোজ কাঠবাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়। হাড়ে বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা হলে রোজ কাঠবাদাম খেলে উপকার হয়। 

কারণ, কাঠবাদামে রয়েছে আলফা লিনোলেইক অ্যাসিড। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ কাঠবাদাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই আছে কাঠবাদামে তাই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।

আরও পড়ুন: ম্যারাথনে বাড়তে পারে কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি, তবে নিয়মিত দৌড়েই মিলবে সুরক্ষা— দাবি গবেষণার

ব্লু জোন: পৃথিবীর সেই রহস্যময় অঞ্চল যেখানে মানুষ সহজেই বাঁচেন শতবর্ষ

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।