বেশ কিছু বছর ধরেই ভেগান (যাঁরা কোনো রকম প্রাণীজাত খাবার খান না)-দের হাত ধরেই জনপ্রিয় হয়েছে টোফু। সয়াবিনের দুধ থেকে তৈরি পনির হল টোফু। ফ্রেশ সয়াবিনের দুধ কাটিয়ে সেই ছানা দিয়ে জমিয়ে জমিয়ে তৈরি হয় টোফুর সলিড ব্লক। টোফু হল এক ভার্সেটাইল খাবার যাতে খুবই উপকারী ৯টি জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। ভিটামিন বি১ ছাড়া টোফুতে আছে লোহা, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, দস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ।
চিনেই প্রচলন শুরু হয় সয়াবিনের পনির টোফু। জাপানে অষ্টম শতাব্দীতে টোফুর প্রথমবার প্রচলন শুরু হয়। প্রথমে এটাকে জাপানি ভাষায় বলা হত ‘ওকাবে’। ১৪০০ সাল থেকে শুরু হয় টোফুর নামের প্রচলন।
সয়া প্রোটিন টোফুতে রয়েছে আইসোফ্লেভনস নামে ফাইটোইস্ট্রোজেন যা ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। বিভিন্ন রকম ক্যানসার ছাড়াও হৃদরোগ আর অস্টিওপরোসিস আটকাতে সক্ষম টোফু। প্রাণীজ প্রোটিনের বিকল্প হিসাবে টোফু খাওয়া যেতে পারে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সক্ষম টোফু। যা উচ্চ রক্তচাপ আর আথেরোস্কেলোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রত্যেক দিন ১০ আউন্স করে টোফু খেলে অন্তত ৫% খারাপ কোলেস্টেরল কমে।
টোফুতে রয়েছে জেনিস্টেইন নামে আইসোফ্লেভন। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রপার্টি ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি আটকায়। তাই নিয়মিত টোফু খেলে প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কিডনির সমস্যায় ভোগেন যাঁরা তাঁদের জন্যও টোফু খুব উপকারী।
টোফুতে রয়েছে আইসোফ্লেভনস যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে বোন মিনারেল ডেনসিটি বাড়ায়। ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ টোফু হাড়ের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ভালো। বাজারজাত বেশিরভাগ টোফুতে ক্যালসিয়াম সালফেট ব্যবহার করা হয়। তাই টোফুতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে আক্রান্ত মহিলাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে টোফু। আইসোফ্লেভনস থাকায় ত্বক ভালো রাখে, লিভার ড্যামেজ আটকায়। বয়সজনিত বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও রোধ করতে পারে টোফু।
অনলাইনে কিনতে পারেন