নিমের ফল থেকে সরাসরি নিমতেল সংগ্রহ করা হয় বলে এই তেলের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই। স্কিনকেয়ারে নিমতেল যোগ করলে তো উপকার পাবেন হাতেনাতে। কারণ এই তেল একাধিক গুণে গুণী। এটি ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে, এমনকি মুখে বয়সের ছাপও মলিন করে।
নিমতেল কী?
নিমগাছ অনেকের বাড়িতেই রয়েছে। এই গাছের ডাল থেকে পাতা, প্রায় সব অংশই বেশ উপকারী। নিমের বীজ থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে এই প্রাকৃতিক তেল তৈরি করা হয়। এর গন্ধ উগ্র। তবে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদানে ঠাসা তেলটি বিভিন্ন স্কিন ক্রিম, বডি লোশন এবং হেয়ার প্রোডাক্টে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যে
ত্বকের যত্নে নিমতেল – নিমতেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। নিমতেল ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ যার ফলে তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন-প্রসারণ সহজতর হয়। নিয়মিত নিমতেল ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত যাবতীয় দাগ দূর করা সম্ভব।
পড়ুন: গরমে চুল চিটচিটে হলে কি করবেন? জেনে নিন এই ৫ টি সহজ উপায়
ব্রণ কমাতে
নিমতেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। ত্বকের লাল ভাব ও ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিমের তেল তা সারিয়ে তোলে।
খুশকি দূর করতে
চুলের যত্ন – চুলে ও মাথার ত্বকে নিয়মিত নিমতেল ব্যবহারের মাধ্যমে খুশকি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল মেশান। এই বার চুলে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।
মুখের কালো দাগ নিরাময়ে
২-৩ ফোঁটা নিমতেলের সঙ্গে জল মিশিয়ে মুখের ব্ল্যাকহেডে লাগাতে পারেন। এটি প্রতিদিন লাগালে ব্ল্যাকহেড থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে
অনেক সময়ে ঠোঁটের মধ্যে খুব বাজে ভাবে কালো একটা আস্তরণ পড়ে যায়। যদি সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়ম করে নিমতেল লাগান তাহলে ১ মাসের মধ্যে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চা সংক্রান্ত খবর পড়তে নজর রাখুন খবর অনলাইন