ঢাকা: বাংলাদেশে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নয়া মোড়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপে তদন্তের দাবি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র। সাধারণ নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে নাশকতার একটি “পূর্ব পরিকল্পিত” কাজ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। অন্য দিকে, বিএনপির বিরুদ্ধেও নালিশ করা হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের পুরোনো খেলার অংশ।’ এ ঘটনাকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন তিনি।
সূত্রের খবর, নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীরা সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে অভিযোগ এনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘ সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগিতে আগুন লাগে শুক্রবার রাতে। ঘটনাটি ঘটেছে কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার কিছুটা আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের সামনে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি, ২০২৪) বাংলাদেশে নির্বাচন। তার কয়েক ঘণ্টা আগে চলন্ত ট্রেনে আগুন। অভিযোগ, অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতীরা। শুধু ট্রেনে আগুন লাগা নয়, শুক্রবার নানা হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। তাই ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনাকেই নির্বাচন পূর্ববর্তী হিংসা বলেই ধরা হচ্ছে।
এর আগেও ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুন লাগে। এ নিয়ে ট্রেনে আগুন ও নাশকতার ঘটনায় প্রায় ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ ঘন্টার ম্যারাথন তল্লাশি! রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় ‘ঘনিষ্ঠ’ শঙ্কর আঢ্য